ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

উপকার ভোগীর সাথে প্রধান উপদেষ্টা ভিডিও কনফারেন্স 

হাটহাজারীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ঘরের চাবি হস্তান্তর করলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি

প্রকাশিত: ২২:৪১, ৩০ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ২৩:০৮, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

হাটহাজারীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ঘরের চাবি হস্তান্তর করলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক

 ৩০ এপ্রিল-চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ঘরের চাবি বুধবার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পক্ষে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও  জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম উপকারভোগী ফেরদৌস বেগমের হাতে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে গুমানমর্দ্দন ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ঝোরারকুল এলাকায় প্রধান উপদেষ্টা তার কার্যালয় থেকে এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন গুমানমর্দ্দনে।

এসময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অস্বাভাবিক অবস্থাতে গৃহনির্মাণে গুণগত মান ঠিক রাখাটা চ্যালেঞ্জের ছিল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাশে ছিল বলে সে কাজ সহজ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। ভবিষ্যতে দুর্যোগের সময় তাদের পাশে থাকার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তিনি।

পরে  ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয় । হাটহাজারী উপজেলার মধ্যে, পটল বড়ুয়া পিতা- শ্রীমন্ত বড়ুয়া, মো.বেলাল পিতা-মুসা, সেকান্দর মিয়া পিতা-সুলতান আহম্মদ, মো.জাহাঙ্গীর পিতা-ফেজু মিয়া, নুরু নাহার পিতা-কবির আহমেদ, মোহাম্মদ মনা চৌধুরী পিতা-মো.আব্দুস সমদ চৌধুরী, ফেরদৌস বেগম পিতা-জেবল হোসেন,মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন পিতা- আলিম উল্লাহ,নিরোধ বড়ুয়া পিতা- মনিন্দ্র বড়ুয়া, নাজিম উদ্দিন পিতা- দানা মিয়া সহ মোট ১০টি ক্ষতিগ্রস্ত  পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়।

এ সময়  চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড, জিয়া উদ্দীন,  জেলার প্রশাসক ফরিদা খানম, ব্রিগেইডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম রানা, পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল তাজুল ইসলাম, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও মীরশরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ফটিকছড়ি ও মীরশরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। 

জানা যায়, ২০২৪ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানকার ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ২৪ ডিভিশন ও ৩৩ ডিভিড এর  মাধ্যমে চারটি জেলায় ৩০০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য প্রধান উপদেষ্টার অফিস ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও অর্ধেক টাকায় মাত্র ২৫ কোটি টাকায় প্রকল্পটি সম্পন্ন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। 

রাজু

×