টেকনাফের কেরুনতলী
কক্সবাজার জেলার টেকনাফের নাফ নদীতে মিয়ানমার জলসীমানায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গোলাগুলির ঘটনায় কক্সবাজারের টেকনাফের কেরুনতলী সীমান্ত কেঁপে উঠেছে।
বুধবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত নাফের লাল দ্বীপ নামক স্থানে সীমান্তে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনায় প্রাণহানির ঘটেছে। তবে ঠিক কতজনের প্রাণহানি হয়েছে তা জানা যায়নি।
এ বিষয়ে টেকনাফ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সীমান্তের ওপারে লাল দ্বীপে মিয়ানমারের দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী দলের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সেখানে কিছু প্রাণহানি হয়েছে বলেও তারা সংবাদ পেয়েছেন। বিজিবি নাফ নদীতে তাদের টহল ও মনিটরিং বৃদ্ধি করেছে বলেও জানান।
জানা গেছে, টেকনাফের সদর ইউনিয়নের কেরুনতলী এলাকায় রোহিঙ্গা বেশ কিছু
যুবকের আনাগোনা দেখা গেছে। এছাড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে বের হয়ে প্রধান সড়কে গাড়ি থামিয়ে অনেক রোহিঙ্গা পরিবার নিয়ে উঠে পড়ছে। এদের মধ্য অনেকের গন্তব্য উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে। এছাড়া ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত নাফের লাল দ্বীপে গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।
সেখানকার বাসিন্দা আবদুল আমিন বলেন, প্রতিনিয়ত এই এলাকায় রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করছে। অনেকে পাহাড়ে জমি কিনে ঘর করছেন। এখানে পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ। নাফ নদে লাল দ্বীপে ব্যাপক গোলা বিস্ফোরণে পুরো এলাকা কাঁপছে। শুনেছি, সেখানে মিয়ানমারের দুটি সন্ত্রাসী দলের মধ্য গোলাগুলি চলছিল। এতে বেশকিছু মানুষ মারা গেছে বলেও শুনেছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি এক কর্মকর্তা বলেন, লাল দ্বীপে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী দলের গোলাগুলিতে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর আমরা পাচ্ছি। অনেকে নদীতে ভাসমান নৌকায় লাশ দেখেছে।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, কেরুনতলীতে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়া কথা লোকজন অবহিত করেছে। কার সঙ্গে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয়ে অবগত নন তিনি।
এসআর