রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন
দেশের লাইফলাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী কুমিল্লার অংশ কার্যত অচল গত তিনদিন। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ। একইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার যান চলাচল। মহাসড়কে ত্রাণবাহী গাড়িসহ যানজটে আটকা প্রায় ৩ হাজার পরিবহন।
এদিকে ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম-ঢাকা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে জানিয়েছে রেলওয়ে। তবে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় দেড়দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার থেকে ঢাকা- সিলেট রুটে শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল।
অপরদিকে বিকেলে কুমিল্লা হাইওয়ে রিজিয়ন পুলিশ জানায়, বন্যার পানির জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এখনো বন্ধ আছে। পরিস্থিতি উন্নতি হলে তারপরই চালু হবে যান চলাচল। শনিবার বিকেল পর্যন্ত ফেনীতে রেললাইন ও রেলসেতুর ওপর থেকে বন্যার পানি নামেনি। যার ফলে চট্টগ্রামের সঙ্গে সব রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ। বাতিল করা হয়েছে সব ট্রেনের সিডিউল।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মো. নাজমুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার থেকেই সব ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। রেললাইন দৃশ্যমান না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ট্রেন চলাচল। অনেক জায়গায় রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেসবও সংস্কার করা হবে।
মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট ॥ বন্যার পানিতে ফেনীর লালপোলসহ বেশ কয়েক কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত। যার ফলে মহাসড়কের বড় অংশ এখনো পানির নিচে। এর ফলে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার গাড়ি আটকে আছে সড়কে। যার ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভয়াবহ যানজট।
যানজটে আটকা পড়েছে বন্যাদুর্গতদের জন্য নিয়ে যাওয়া ত্রাণবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন রকমের যানবাহন। এ পরিস্থিতিতে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীর সঙ্গে সড়ক ও রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। যার ফলে চট্টগ্রাম বন্দরসহ বিভিন্ন বেসরকারি ডিপোতে আসা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের সংখ্যা কমেছে। ফেনী-চৌদ্দগ্রাম সড়কের দুইপাশে প্রায় তিন হাজার যানবাহন আটকে আছে যানজটে। এসব গাড়ি বন্যার পানির কারণে আসা-যাওয়া করতে পারছে না।