‘বৈষম্যবিরোধী সংখ্যালঘু ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারের যশোর শহরের কোতোয়ালি থানার সামনে সমাবেশ
ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে শান্তি সমাবেশ, মতবিনিময়, সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এসব কর্মসূচিতে বক্তারা সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের।
নেত্রকোনা
ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি বজায় রাখার দাবিতে জেলা সদরে শান্তি সমাবেশ হয়েছে। সোমবার বিকাল তিনটায় শহরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের ব্যানারে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামল ভৌমিক, জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মানিক তালুকদার, মনোজ সরকার, দীপক সরকার, মহাদেব পাল, সুমন সরকার, লিপটন পাল, আনিসুল হক খান, নিরঞ্জন হাজং, ওয়ালসেং ও রুমা মারমাসহ অনেকে। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে সকল ধর্মের-বর্ণের ও গোত্রের লোকজন শান্তিতে বসবাস ও নিজনিজ ধর্ম পালন করে আসছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারেÑ সেজন্য সকলকে সতর্ক ও দায়িত্বশীল হতে হবে।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী কোর্ট শহীদ মিনার চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি। বক্তব্য দেন- জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গণেশ মার্ডি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিমল চন্দ্র রাজোয়াড়, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজকুমার শাও, রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুশেন্দ কুমারসহ প্রমুখ।
গলাচিপা, পটুয়াখালী
ছাত্রদের মাধ্যমেই গণবিপ্লব হয়েছে। এর পেছন থেকে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর সবসময় মেকার হিসেবে কাজ করেছেন। আমরা একটি ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন ঘটিয়েছি। ভবিষ্যতে যেন আর ফ্যাসিবাদ সরকার না আসে, আমরা সেটার জন্য কাজ করে যাবো।
রবিবার বিকেলে রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভায় পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান এসব কথা বলেন।
এর আগে বৈষম্যবিহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে উপজেলার কোড়ালিয়া বাজার, মোল্লার বাজার, বাহেরচর বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে সম্প্রীতি র্যালি ও শান্তি সভা করা হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগর সভাপতি আবু নাঈম, গণঅধিকার পরিষদের রাঙ্গাবালী উপজেলা আহ্বায়ক আমির হোসেন, সদস্য সচিব সৈয়দ রাসেল, গণঅধিকারের গলাচিপা উপজেলা আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন ও ছাত্রঅধিকারের রাঙ্গাবালী আহ্বায়ক সজল প্রমুখ।
গোপালগঞ্জ
সোমবার সকাল থেকেই জেলার পাঁচ উপজেলা থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ খ- খ- মিছিল আকারে গোপালগঞ্জ শহর অভিমুখে আসে এবং কেন্দ্রীয় সার্বজনীন কালীবাড়িসহ আশপাশ এলাকায় জড়ো হয়। বেলা ১১টার দিকে সেখান থেকে এক বিশাল বিক্ষোভ-মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু সড়কে প্রেসক্লাব চত্বরে জমায়েত হয়। একপর্যায়ে শহরের পুলিশ লাইন মোড় থেকে পাঁচুড়িয়া পর্যন্ত প্রায় দু’ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় সংখ্যালঘু অগণিত মানুষের সমাগমে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলার বিভিন্ন মন্দির-কমিটির নেতৃবৃন্দ।
গোপালগঞ্জ সার্বজনীন কেন্দ্রীয় কালীবাড়ির সভাপতি রমেন্দ্রনাথ ম-ল বলেছেন, আমরা বাঙালি সব ধর্মের মানুষের সাথে মিলেমিশে বসবাস করছি। আমাদের ওপর কেন হামলা হবে? যে সব দুষ্কৃতকারী হামলা চালিয়ে মন্দির ভাঙচুর ও লুটপাটসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে।
ঝালকাঠি
লুটপাট, ভাঙচুর ও নারীদের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস মোড়ে এর আয়োজন করা হয়। সমাবেশে শত শত সংখ্যালঘু পরিবারে সদস্যরা অংশগ্রহণ করে। সভায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
খুলনা
দেশের বিভিন্ন জেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে ভাঙচুর, মন্দিরের জায়গা দখল এবং অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সনাতনী মা-বোন, ভাইদের নির্যাতন, হত্যা ও মাতৃভূমি ত্যাগের হুমকির প্রতিবাদে খুলনায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ খুলনা জেলা মহানগর শাখার আয়োজনে প্রথমে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে হিন্দু সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠন ও মন্দির কমিটিসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করে। পরে পিকচার প্যালেস থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে শেষ হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি বীরেন্দ্রনাথ ঘোষ। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণপদ দাশ, শ্যামল হালদার, প্রশান্ত কুমার কুন্ডু, গোপাল চন্দ্র সাহা, বিমান সাহা, রতন কুমার নাথ, অজান্তা দাস, উল্লাসিনী রাণী সরকার, মাধুরী মন্ডল, মুক্তি রায়, শিখা মন্ডল অনামিকা দাস পপি, বিশ্বজিৎ দে মিঠু, পরিমল দাস প্রমুখ।
যশোর
সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচার, হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও বাস্তুহারাদের জায়গা-জমি ফিরিয়ে দেওয়ার সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে যশোরে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশে চলমান পরিস্থিতিতে হিন্দুদের ওপর বর্বরোচিত হামলা, নির্যাতন, মঠ-মন্দির, ঘর-বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, জায়গা-জমি দখলসহ সকল অন্যায় অত্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার বিকেল ৩টায় যশোর শহরের কোতোয়ালি মডেল থানার সামনে ‘বৈষম্যবিরোধী সংখ্যালঘু ছাত্র আন্দোলন’ যশোরের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
গাইবান্ধা
সোমবার বেলা ১১টার দিকে পৌরপার্কের শহীদ মিনার চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ এবং বাংলাদেশ ছাত্র-যুব ঐক্য পরিষদ যৌথভাবে এ অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে।
বক্তব্য দেন- হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা সভাপতি রণজিৎ বকসি সূর্য, বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদ জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ পরেশ চন্দ্র সরকার, সাধারণ সম্পাদক সুদেব চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল সাহা, দীপক কুমার পাল, দীপক রায়, সুজন প্রসাদ, বিরতি রঞ্জন সকার, রঞ্জন সাহা, অভিজিৎ দাস, সৌমিক কুমার বকসী প্রমুখ।
গফরগাঁও, ময়মনসিংহ
সর্বত্র চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকা-, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে হামলা এবং ভাঙচুর চলাচ্ছে এক শ্রেণির দুর্বৃত্ত। উপজেলার পাইথল ইউনিয়নে জয়ধরখালী গ্রামের অমূল্য পাল জানান, স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে ৭/৮ লোক চাঁদার দাবি করে বাড়িতে এসে হামলা ভাঙচর করে। এ সময় হামলাকারীরা নতুনবাজার এলাকায় তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে আনসার সদস্যরা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু দীলিপ কুমার রায় জানান, আনসার সদস্য এ ধরনের কার্যক্রম নিশ্চয়ই প্রশংসনীয়।
ঠাকুরগাঁও
বিএনপি, ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার উদ্যোগে ঐক্য ও সম্প্রীতি মিছিল এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপরে জেলার দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একইস্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক পয়গাম আলী, জেলা যুবদলের সভাপতি চৌধুরী মাহেবুল্লাহ আবু নূর, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারেক আদনান, জেলা হিন্দু ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ কুমার কুন্ডুসহ নেতৃবৃন্দ।
বক্তাগণ দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নতুন করে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পিছনে সব থেকে বড় অবদান কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। তাদের জন্য আজ আমরা আবারও স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি।
বাকেরগঞ্জ, বরিশাল
হামলা লুটপাট, অগ্নিসংযোগ মূর্তি, ভাস্কর্য, মন্দির ভাঙচুর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট ঘটনার প্রতিবাদে সমাবেশ ও ভিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় সরকারি বাকেরগঞ্জ কলেজ চত্বরে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের আয়োজনে এ সমাবেশ ও ভিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে বিক্ষুব্ধ সংখ্যালঘুদের সঙ্গে নিয়ে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের নেতৃত্বে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল দেয়।
নড়াইল
হামলা, মূর্তি ভাঙচুর, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, ধর্ষণ ও হত্যাসহ সকল সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে নড়াইলে সনাতনী হিন্দুদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার জেলা সনাতনী শিক্ষার্থী ও জাগ্রত সনাতন সমাজের আয়োজনে সকাল ১০টায় নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সুলতান মঞ্চ চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পরে বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এ প্রতিবাদ সমাবেশে ও মিছিলে নড়াইলের বিভিন্ন এলাকা থেকে সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েক হাজার নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করে।
মাগুরা
সব হত্যাকা-ের বিচার, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে সোমবার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর ১২টায় মাগুরা প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাংলাদেশ জাসদ মাগুরা জেলা শাখার উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ কাজী ফিরোজ, এ টিএম মহব্বত আলী, প্রকৌশলী শম্পা বসু প্রমুখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সনাতনী শিক্ষার্থী ঐক্য এবং সুশিল সমাজ নাগরিকবৃন্দের উদ্যোগে কর্মসূচি পালিত হয়। এতে উত্তম কুমার মল্লিকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন রাজু দেবনাথ, সুজিত বিশ্বাস, রিদিমা শর্মা, নিখিলেশ দাস, শ্রাবণ দাস, ফালগুনী বর্দ্ধন, শুভেপু চক্রবর্তী, সৃজন রায়, বিজয় দেবনাথ, হৃদয় বিশ্বাস প্রমুখ।
ঝিনাইদহ
সোমবার সকালে শহরের উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে। সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু হুরাইরা, শারমিন আক্তার, রিহান হোসেন রায়হানসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
কলাপাড়া, পটুয়াখালী
সোমবার বেলা ১১টায় কলাপাড়া প্রেস ক্লাবের সামনে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কলাপাড়া শাখার উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নেতা অ্যাডভোকেট নাথুরাম ভৌমিক, নমিতা রাণী দত্ত, রাখাইন মংটেনসুয়ে, দেবাশীষ মুখার্জি টিংকু,অমল কৃষ্ণ কর্মকার, হরে কৃষ্ণ বিপুল প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন ডাঃ সুভাষ চন্দ্র মিত্র। বক্তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট, নির্যাতনে জড়িতদের দ্রুত শণাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও
সোমবার দুপুরে পীরগঞ্জ উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন পৌর শহরে বিক্ষোভ, মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। বিক্ষোভে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেয়। সকাল থেকেই এসব নারী-পুরুষ মিত্রবাটি মন্দিরে জমায়েত হয়ে সনাতনী ছাত্র জনতার ব্যানারে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে এসব কর্মসূচির আয়োজন করেন।
পীরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন যেন নিরাপদভাবে শহরে তাদের কর্মসূচি করতে পারে এ ব্যাপারে তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন।