ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১

টেকনাফে দশ হাজার পরিবার পানিবন্দি, দুর্ভোগ চরমে

নিজস্ব সংবাদদাতা, টেকনাফ, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ১০:১৯, ২০ জুন ২০২৪; আপডেট: ১০:২৮, ২০ জুন ২০২৪

টেকনাফে দশ হাজার পরিবার পানিবন্দি, দুর্ভোগ চরমে

টেকনাফে বাড়ছে পানি।

কক্সবাজারের টেকনাফে টানা ভারী বর্ষণের প্রভাবে প্রায় অর্ধ-শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি, অসংখ্য ফসলি জমি, মাছের ঘের, গবাদিপশুর খামার পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া পাহাড় ধসে ভেঙে গেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কয়েকটি ঘর।

মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি বুধবার (১৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকায় পাহাড়ি ঢল, নদ-নদী ও খালের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল গুলো পানিতে ডুবে গেছে। এতে সাধারণের ভোগান্তি বেড়েছে।

এদিকে ভারী বর্ষণের প্রভাবে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় পাহাড়ের পাদদেশে ও পাহাড়ে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, তার ইউনিয়নে ১২ গ্রামের ৪ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এসব গ্রামের চলাচলের রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মূলত সীমান্ত সড়কের স্লুইচ গেইট থেকে বৃষ্টির পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে বের হতে না পারায় এসব এলাকা মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।

হ্নীলার রঙ্গিখালী লামার পাড়ার বাসিন্দা আবু ছিদ্দিক বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। রাত থেকে ঘুমানো তো দূরের কথা চুলায় আগুন জ্বালাতেও পারিনি। দুপুরে পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা ভাত খেয়েছি৷

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, তার ইউনিয়নে ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় চারশত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়া কিছু ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে।

হোয়াইক্যং এর বাসিন্দা আবছার কবির আকাশ বলেন, হোয়াইক্যং ইউপির সব চিংড়ি ঘের ও নাফ নদী পানিতে একাকার হয়ে গেছে। লাখ লাখ চিংড়ি পানিতে ভেসে গেছে। এতে করে ব্যবসায়ীরা বিরাট লোকসানের সম্মুখীন হয়েছেন।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন জানান, শাহপরীর দ্বীপের ৭ গ্রামসহ সাবরাং ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। 

সাবরাং ইউনিয়নের হাদুর ছড়া গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, পানি ঢুকে চুলায় আগুন জ্বালানোর পরিবেশ নেই। সকাল থেকে মুড়ি, চিড়া আর বাজার থেকে হালকা নাস্তা এনে খেয়েছি। বাড়িতে প্রতিবন্ধী এক ছেলে থাকায় দুর্ভোগ আরো বেড়েছে।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ মুজিবুর রহমান বলেন, ৭ গ্রামের মানুষ এখন পানিবন্দি রয়েছেন। অনেকের বাড়িঘরে পানি ঢুকে বাসের অযোগ্য হয়ে গেছে। সাধারণের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

পৌরসভার বাসিন্দা আনছার উল্লাহ বলেন, টানা বর্ষণের প্রভাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই ঘরটিও বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। জানি না, পরিবার নিয়ে কোথায় যাব। সকাল থেকে পরিবারের কারও মুখে খাবার জুটেনি।

এইদিকে টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-৩ কোহিনূর আক্তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা নিয়ে লিখেন, "অতিবৃষ্টির ফলে পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পৌরসভা কর্তৃক ড্রেন নির্মাণের জন্য জায়গা দিতে বললে অপারগতা প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। ফলে ড্রেন নির্মাণ সম্ভব হয়নি। তাই অতিবৃষ্টিতে পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলবদ্ধতা দূরীকরণে পৌর কর্তৃপক্ষ সর্বদা প্রস্তুত। আপনারা জায়গা ছেড়ে দিন, আমরা ড্রেন নির্মাণ করে আপনাদের দুর্ভোগ লাঘব করব।"

বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন জানান, তার ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের বাসিন্দা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে ১০ গ্রাম। এতে এক হাজার পরিবার খুব খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘ভারী বর্ষণের ফলে কিছু গ্রামে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। আমরা তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সকাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। এজন্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, তার ইউনিয়নে ১২ গ্রামের ৪ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এসব গ্রামের চলাচলের রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মূলত সীমান্ত সড়কের স্লুইচ গেইট থেকে বৃষ্টির পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে বের হতে না পারায় এসব এলাকা মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।

হ্নীলার রঙ্গিখালী লামার পাড়ার বাসিন্দা আবু ছিদ্দিক বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। রাত থেকে ঘুমানো তো দূরের কথা চুলায় আগুন জ্বালাতেও পারিনি। দুপুরে পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিয়ে আসা ভাত খেয়েছি৷

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, তার ইউনিয়নে ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় চারশত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়া কিছু ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে।হোয়াইক্যং এর বাসিন্দা আবছার কবির আকাশ বলেন, হোয়াইক্যং ইউপির সব চিংড়ি ঘের ও নাফ নদী পানিতে একাকার হয়ে গেছে। লাখ লাখ চিংড়ি পানিতে ভেসে গেছে। এতে করে ব্যবসায়ীরা বিরাট লোকসানের সম্মুখীন হয়েছেন।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন জানান, শাহপরীর দ্বীপের ৭ গ্রামসহ সাবরাং ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। 

সাবরাং ইউনিয়নের হাদুর ছড়া গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, পানি ঢুকে চুলায় আগুন জ্বালানোর পরিবেশ নেই। সকাল থেকে মুড়ি, চিড়া আর বাজার থেকে হালকা নাস্তা এনে খেয়েছি। বাড়িতে প্রতিবন্ধী এক ছেলে থাকায় দুর্ভোগ আরো বেড়েছে।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ মুজিবুর রহমান বলেন, ৭ গ্রামের মানুষ এখন পানিবন্দি রয়েছেন। অনেকের বাড়িঘরে পানি ঢুকে বাসের অযোগ্য হয়ে গেছে। সাধারণের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

পৌরসভার বাসিন্দা আনছার উল্লাহ বলেন, টানা বর্ষণের প্রভাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই ঘরটিও বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। জানি না, পরিবার নিয়ে কোথায় যাব। সকাল থেকে পরিবারের কারও মুখে খাবার জুটেনি।

এইদিকে টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-৩ কোহিনূর আক্তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা নিয়ে লিখেন, "অতিবৃষ্টির ফলে পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পৌরসভা কর্তৃক ড্রেন নির্মাণের জন্য জায়গা দিতে বললে অপারগতা প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। ফলে ড্রেন নির্মাণ সম্ভব হয়নি। তাই অতিবৃষ্টিতে পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলবদ্ধতা দূরীকরণে পৌর কর্তৃপক্ষ সর্বদা প্রস্তুত। আপনারা জায়গা ছেড়ে দিন, আমরা ড্রেন নির্মাণ করে আপনাদের দুর্ভোগ লাঘব করব।"

বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন জানান, তার ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের বাসিন্দা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে ১০ গ্রাম। এতে এক হাজার পরিবার খুব খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘ভারী বর্ষণের ফলে কিছু গ্রামে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। আমরা তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সকাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। এজন্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
 

এসআর

×