ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতীক পেয়েই প্রচারে প্রার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:৩৭, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

প্রতীক পেয়েই প্রচারে প্রার্থীরা

প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর জনসংযোগ

প্রতীক পেয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা। ভোটারের কাছে ভোট চাইছেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে সিরাজগঞ্জের তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিলিয়ে ৩০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে প্রার্থীরা সবাই আওয়ামী লীগ ঘরোনার। বিএনপি-জামায়াত সমর্থক কোনো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেই।

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় রিয়াজ উদ্দিন, রাশেদ ইউসুফ জুয়েল, নুরুল ইসলাম সজল, নাসিম রেজা নুর দিপু, এসএম আহসান হাবিব এহসান, কাজীপুর উপজেলা পরিষদে খলিলুর রহমান সিরাজী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ও আশরাফুল আলম এবং বেলকুচি উপজেলায় মীর সেরাজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম সরকার ও বদিউজ্জামান সরকার।

এ ছাড়াও সিরাজগঞ্জ সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তিন, কাজীপুরে ভাইস চেয়ারম্যান তিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পাঁচ এবং বেলকুচিতে ভাইস চেয়ারম্যান তিন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।  নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীদের মার্কা সংবলিত ব্যানার ঝুলছে, পোস্টার ঝুলছে। আর লিফলেট হাতে নিয়ে প্রার্থী এবং প্রার্থীর সমর্থকেরা মাঠে রয়েছেন। যাচ্ছেন বাড়ি বাড়ি। ভোট চাইছেন ভোটারের কাছে। প্রার্থীর সমর্থনে মহিলারাও বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। মা-বোনদের কাছে প্রার্থীর গুণ কীর্তন করে ভোট চাইছেন।
 
বরিশালে প্রচারে ২২ প্রার্থী
স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, প্রথম ধাপে জেলার দুটি উপজেলায় নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীসহ চারজন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ফলে দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নয়, ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাত ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয় প্রার্থী মঙ্গলবার দুপুরে প্রতীক পেয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারে মাঠে নেমেছেন। তীব্র গরমের মধ্যে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

রিটার্নিং অফিসার ও জেলার সিনিয়র নির্বাচন অফিসার ওয়াহিদুল ইসলাম মুন্সি জানান, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ এপ্রিল শেষ কার্যদিবসে ব্যক্তিগত কারণের কথা উল্লেখ করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী মিজানুর রহমান ও নেওয়ামত আবদুল্লাহ তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে একই উপজেলার কামরুল ইসলাম এবং বরিশাল সদর উপজেলা থেকে মোহম্মদ ফাইজুল হক সজীব তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। সূত্রমতে, চূড়ান্তভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বরিশাল সদর উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে পাঁচ, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন এবং বাকেরগঞ্জ উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে চার, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

রাজশাহীতে সব মনোনয়নপত্র বৈধ
স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান,  দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে পুঠিয়া, দুর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোট ৩১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

একই দিন প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে বৈধ চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন- দুর্গাপুর উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মো. শরিফুজ্জামান ও আব্দুল মজিদ। পুঠিয়া উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু, মখলেসুর রহমান, আব্দুস সামাদ ও আহসান উল হক মাসুদ। এ ছাড়া বাগমারা উপজেলায় জাকিরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক সরকার ও নাছিমা আক্তার।

ঝালকাঠিতে ভোটের মাঠে ২৪ প্রার্থী
নিজস্ব সংবাদদাতা ঝালকাঠি থেকে জানান, সদর ও নলছিটি উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে। দুই উপজেলায় ২৪ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মঙ্গলবার যাচাই-বাছাইয়ে সকলের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার আ. ছালেক। এ সময় তার সঙ্গে সহকারী রিটার্নিং অফিসার (নলছিটি) মেজবা উদ্দিন ও ঝালকাঠি সদরের সহকারী রিটার্নিং অফিসার নাজমুল আলম উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান সাত, ভাইস চেয়ারম্যান নয় ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস  চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন আটজন।

ঝালকাঠি সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খান ও সৈয়দ রাজ্জাক আলী এবং শেখেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করে নুরুল আমিন খান সুরুজসহ চারজন প্রার্থী হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান মহিনুদ্দিন তালুকদার (মঈন), সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদুর রহমান এবং সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি লস্কর আশিকুর রহমান দিপুসহ তিনজন প্রার্থী হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালী, নতুন নারী নেত্রী পিনু আক্তার নদী ও মিসেস উম্মে সালমাসহ তিনজন প্রার্থী হয়েছেন। 
নলছিটি উপজেলায় সাবেক চেয়ারম্যান জিকে মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক নলছিটি পৌর চেয়ারম্যান তসলিম উদ্দিন চৌধুরী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সালেহ উদ্দিন খান সেলিমসহ তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেএম হাতেম, বদরুল আলম, মনিরুজ্জামান মনির, মোফিজুর রহমান শাহিন, হানিফ হাওলাদার, শরিফ মিজানুর রহমানসহ (লালন) ছয়জন মনোনয়পত্র দাখিল করেছেন ও এরা সবাই নবাগত। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোর্শেদা বেগম, আয়শা আক্তার, জাকিয়া খাতুন শিমা, দিলরুবা মাহমুদ ও নাছিমা আক্তারসহ পাঁচজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

বাকেরগঞ্জে শোডাউন
নিজস্ব সংবাদদাতা বাকেরগঞ্জ বরিশাল থেকে জানান,  উপজেলাজুড়ে নির্বাচনী উত্তাপ। শুরু হয়েছে ভোটের দিন উপলক্ষে ক্ষণগণনা। প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই ভোটযুদ্ধে মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা। শুরু করেছেন শো-ডাউন। প্রার্থীরা তাদের কর্মী সমর্থক নিয়ে ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে এবং কোলাকুলি-কুশল বিনিময় করে খোঁজ-খবর নিয়ে ভোট চাচ্ছেন। অটো রিক্সার ওপরে মাইক টানিয়ে মহল্লায় মহল্লায় ঘুরে ঘুরে গানে গানে ভোট চাইছেন প্রার্থীদের। 
চেয়ারম্যান পদে ৬ জন থাকলেও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান ও  বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়ামত আব্দুল্লাহ পলাশ গত ২২ এপ্রিল তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। 
নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা আনারস মার্কা, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক রাজিব তালুকদার প্রতীক পেয়েছেন কাপ পিরিচ, কামরুল ইসলাম খান পেয়েছেন মোটরসাইকেল, ফিরোজ আলম খান প্রতীক পেয়েছেন দোয়াত-কলম।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান ডাকুয়া (তালা মার্কা), মো. শাহবাজ মিয়া (বই মার্কা), আব্দুস সালাম (উড়োজাহাজ)। অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা বেগম প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন (কলস মার্কা) ও জাহানারা বেগম (হাঁস মার্কা)।

নওগাঁয় ৪৭ প্রার্থী মাঠে 
নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ থেকে জানান, প্রতীক বরাদ্দের আগে জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ে প্রার্থীদেরকে ব্রিফ করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা তারিকুজ্জামান।  উপজেলাগুলো হলো- বদলগাছী, মহাদেবপুর, ধামইরহাট ও পতœীতলা। তবে ৪টি উপজেলার মধ্যে মহাদেবপুর উপজেলার এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যুতে ওই উপজেলায় শুধু ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৩টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৫, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৮ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

ধামইরহাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন  ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- ওসমান আলী, আবু নাসের মো. আফজাল হোসেন, আজহার আলী, আয়েন উদ্দিন। পতœীতলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- আ’লীগ নেতা মো. খালেক চৌধুরি ও আব্দুল গাফ্ফার।

দুজনই আ’লীগের শক্তিশালী নেতা। খালেক চৌধুরী উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও আব্দুল গাফ্ফার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। বদলগাছী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন  ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- শামসুল আলম, ইমামুল আল হাসান, আবু খালেদ বুলু, বাবর আলী, হিরক তালুকদার, শহীদুল ইসলাম, মিঠু ম-ল, জবির উদ্দিন, এসএম সাইদুর রহমান।

এদিকে মহাদেবপুর উপজেলার এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যুতে ওই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতীতে ৫০ প্রার্থী 
নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর  থেকে জানান, শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছালাউদ্দিন ছালেম পেয়েছেন কই মাছ প্রতীক, মাহবুবুর রহমান সুজা পেয়েছেন দোয়াত কলম প্রতীক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম ভাসানী পেয়েছেন কাপ পিরিচ প্রতীক, জাহিদুল ইসলাম জুয়েল পেয়েছেন হেলিকপ্টার প্রতীক, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জুয়েল আকন্দ পেয়েছেন ঘোড়া প্রতীক, আব্দুল মতিন পেয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীক ও খন্দকার ফারুক আহমেদ পেয়েছেন আনারস প্রতীক।

ঝিনাইগাতী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিশ্বজিৎ রায় পেয়েছেন আনারস প্রতীক, ফারুক আহমেদ পেয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীক, আমিনুল ইসলাম বাদশা পেয়েছেন দোয়াতকলম প্রতীক, মো. সরোয়ার বাহাদুর লাল পেয়েছেন কাপ পিরিচ প্রতীক ও একেএম ছামেদুল হক পেয়েছেন ঘোড়া প্রতীক। একই দিন পুরুষ ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ৩৮ প্রার্থীর মাঝেও প্রতীক বরাদ্দ করা হয়।

ডোমার ও ডিমলার প্রার্থীরা মাঠে
স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী থেকে জানন, ডোমার ও ডিমলা উপজেলার প্রার্থীরা মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচারে মাঠে নেমে পড়েছেন। শুরু হয়েছে পথসভা ও মাইকযোগে প্রচার। ওই দুই উপজেলায় ৩৫ প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১২, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন। এর আগে গত বুধবার যাচাই-বাছাইয়ে ৩৫ প্রার্থীর মধ্যে সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

ডোমার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮ প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন আওয়ামী লীগের এবং ৩ জন নির্দলীয়। এর মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও রয়েছেন। তারা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি  মনোয়ার হোসেন (হেলিকপ্টার), সাধারণ সম্পাদক  মঞ্জুরুল হক চৌধুরী (কাপ-পিরিচ), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক সরকার  (ঘোড়া), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ (আনারস) ও মহিলা যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক  জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সরকার ফারহানা আক্তার সুমি (টেলিফোন)।  চেয়ারম্যান পদে নির্দলীয় প্রার্থীরা হলেন রাকিবুল হাসান প্রধান (কই মাছ) এহসানুল হক (দোয়াত-কলম) ও মদন মোহন সিংহ (মোটরসাইকেল)।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ প্রার্থীর মধ্যে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান (টিয়াপাখি), উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক রোকনুজ্জামান (বৈদ্যুতিক বাল্ব), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান (উড়োজাহাজ), হরিণচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিলীপ কুমার মুখোপধ্যায় (টিউবওয়েল)। নির্দলীয় প্রার্থীরা হলেন জামাল উদ্দীন (মাইক), মাছুম বিল্লাহ (তালা), রণজিৎ কুমার রায় (বই), এটিএম মিরাজুল কবীর (চশমা)। 
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিল্পী আক্তার বানু (কলস), আওয়ামী লীগ সমর্থক লাইলী বানু (ফুটবল), সন্ধ্যা রানী (সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান) (বৈদ্যুতিক পাখা), বেগম রৌশন কানিজ (বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান) (হাঁস) ও  নির্দলীয় মোছাম্মত ফেরদৌসী বেগম (প্রজাপতি)। ডিমলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ প্রার্থীর মধ্যে তিনজনই আওয়ামী লীগ দলীয়।

একজন রয়েছেন নির্দলীয়। তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম (কাপ-পিরিচ), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু (ঘোড়া), উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস পারভেজ (আনারস)। নির্দলীয় প্রার্থী গয়াবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান (মোটরসাইকেল)।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্যসচিব উত্তম কুমার রায় (বৈদ্যুতিক বাল্ব), সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান নীরেন্দ্রনাথ রায় (টিউবওয়েল), আওয়ামী লীগের সমর্থক স্বপন (টিয়াপাখি), মোফাখারুল ইসলাম (মাইক), হামিদার রহমান (চশমা), আবু সাঈদ (উড়োজাহাজ), সুজয় চন্দ্র রায় (তালা)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান (নির্দলীয়) মোছা. আয়শা সিদ্দিকা (পদ্মফুল), ডিমলা সদর ইউনিয়নের মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পারুল বেগম (ফুটবল), জাহানারা বেগম (হাঁস)।

সিলেটে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপি প্রার্থীরা
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে জানান, সাংগঠনিক ব্যবস্থার তোয়াক্কা না করেই উপজেলা নির্বাচনে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপির প্রার্থীরা। সিলেটের তিনটি উপজেলায় বিএনপি নেতারা তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়েই উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যদিও জেলা বিএনপি জানিয়েছে, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে। এই নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল সোমবার। শেষ দিন পর্যন্ত সিলেটের তিনটি উপজেলায় প্রার্থী হওয়া বিএনপি নেতারা নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি।
জানা যায়, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাত বিএনপি নেতা। তাদের মধ্যে রয়েছেন- চেয়ারম্যান পদে চার, ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এক প্রার্থী।

এ ছাড়া গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন ও জৈন্তাপুর উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন নির্বাচন করছেন। এর মধ্যে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির যে চার নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেনÑ জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি সুহেল আহমদ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গৌছ খান, তার চাচাত ভাই যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া ও যুক্তরাজ্য-প্রবাসী বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন।

এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কাওছার খান ও খাজাঞ্চি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব সরকার।
 
রংপুরে দ্বারে দ্বারে প্রার্থীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা রংপুর থেকে জানান, উৎসবমুখর পরিবেশে প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রংপুর নির্বাচন কার্যালয়ে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মোতাহসিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ইফতে খায়ের আলম। প্রতীক পেয়েই প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা প্রচারে নেমে পড়েন।

তারা নিজ উপজেলার কাক্সিক্ষত উন্নয়নে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন। সেই সঙ্গে প্রার্থীরা নির্বাচনী এলাকায় মাইকিং, ব্যানার-ফেস্টুন এবং পোস্টার টাঙানো শুরু করেছেন।
 
মাগুরায় ২৪ প্রার্থী মাঠে
নিজস্ব সংবাদদাতা মাগুরা থেকে জানান, সদর ও শ্রীপুর উপজেলায় উপজেলা নির্বাচনে ২৪ চূড়ান্ত প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা নির্বাচন অফিস মিলনায়তনে প্রার্থীদের মাঝে এ প্রতীক বিতরণ করেন জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মাসুদুর রহমান। এ সময় উপজেলা সহকারী নির্বাচন অফিসার শরিফুল ইসলাম, সদর ও শ্রীপুর উপজেলার প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

মাগুরা সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা আমীর ওসমান (মোটরসাইকেল), মীর আব্দুল কুদ্দুস (ঘোড়া), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন (আনারস) জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক রেজাউল ইসলাস (হেলিকাপ্টার), আওয়ামী লীগ নেতা উত্তম কুমার বিশ্বাস (দোয়াত-কলম) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেতা বাহারুল ইসলাম (টিউবওয়েল), আপেল মাহমুদ (মাইক), জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সমুন কুমার ঘোষ (উড়োজাহাজ) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সোনিয়া সুলতানা (কলস), রুখসানা ইয়াসমিন নাজু (ফুটবল), মিনতী রানী দত্ত (পদ্মফুল) ও শারমিন আক্তার রোজী (হাঁস) মার্কা প্রতীক পেয়েছেন।

অপরদিকে শ্রীপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিয়তউল্লাহ হোসেন মিয়া (মোটরসাইকেল), এমএম মোতাসিম বিল্লাহ (ঘোড়া), মিয়া মাহমুদুল গণি (দোয়াত-কলম) ও খোন্দকার আসরার এলাহী (আনারস), ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল রেজা (টিউবওয়েল), প্রান্ত কুমার চাকী (উড়োজাহাজ), কাজী জালাল উদ্দিন (তালা), আলীনুর রহমান (টিয়াপাখি), খাইরুল আলম (চশমা), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নারগিস সুলতানা (ফুটবল),  জোয়ারদার স্বর্ণালী (কলস)  ও কৃষ্ণা রাণী দাস (হাঁস) মার্কা প্রতীক পেয়েছেন।

×