ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

রাণীশংকৈলে এবারো হবেনা বাংলাদেশ-ভারত মিলনমেলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)

প্রকাশিত: ১৭:৪৫, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

রাণীশংকৈলে এবারো হবেনা বাংলাদেশ-ভারত মিলনমেলা

উপজেলার জগদল সীমান্ত।

রাণীশংকৈলে করোনা মহামারির কারণে ২ বছর এপার-ওপার বাংলার মিলনমেলা হয়নি। এরপর থেকে ভারতীয় প্রশাসনের নানা জটিলতায় ভারত -বাংলাদেশ মিলন মেলা আর করা যায়নি। এ বছরও ভারতীয় প্রশাসন আগে থেকেই মিলন মেলা না করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। 

এ উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রশাসন স্থানীয় জনসাধারণকে সচেতন করতে সপ্তাহব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে মাইকিং সহ নানাভাবে সীমান্তে না যাওয়ার ব্যাপারে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এই দিনটিকে ঘিরে প্রতি বছর দুই বাংলার মানুষদের থাকে বাহারি আয়োজন। কাঁটাতারের বেড়া ঘেঁষে দেখা হয় প্রিয়জনদের সাথে। আর কাঁটাতারের ওপর দিয়ে ছুঁড়ে পাঠানো হয় নানা রকমের উপহার। 

প্রতিবছর পহেলা বৈশাখের প্রথম দিনে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার জগদল সীমান্তের ৩৭৩ ও ধর্মগড় ইউনিয়নের ৩৭৪ এবং হরিপুর উপজেলার ৩৬৮ থেকে ৩৭১ পিলারের কাছে নাগরভিটা নদীর তীরে বসে দুই বাংলার লাখো মানুষের মিলনমেলা। মেলাকে ঘিরে বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর ও বগুড়া এবং অপরদিকে আসাম, দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, ভারতের কোচবিহার, কলকাতাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস ও মিনিবাসযোগে হাজারো মানুষ এ সীমান্তে হাজির হয়। চলে প্রিয়জনকে দেখার প্রতীক্ষার প্রহর।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর এদিনে সকাল থেকে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা এসে জড়ো হয় সীমান্তে। কয়েকবছর হলো মিলন মেলা হচ্ছে না এবারো শুনছি মিলনমেলা হবে না। দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন থাকা মানুষজন একে অপরের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ থাকে এদিনে। যেহেতু মেলা হবে না তাই আমরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আত্মীয়-স্বজনদের আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছি। 

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান শুভ দৈনিক জনকন্ঠকে বলেন, উপজেলার সীমান্ত এলাকা পাক-ভারত বিভক্তির আগে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অধীনে ছিল। তখন এ সীমান্তে স্থলবন্দর চালু ছিলো। ১৯৬৫ সালে দেশ ভাগের পর স্থলবন্দর বন্ধ হয়ে যায়। আত্মীয়-স্বজনরা দুই দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সারা বছর কেউ কারো সঙ্গে দেখা করতে না পারায় এ দিনটির জন্য অপেক্ষা করে। স্থানীয় প্রশাসন বলছে এবারো মিলন মেলা হবে না। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান দৈনিক জনকণ্ঠকে জানান, ভারতীয় প্রশাসন কর্তৃক কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে মিলনমেলা না করার বিষয়ে। আমরা মাইকিংও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণকে সচেতন করছি যেনো সীমান্তে কেউ না যায়। এছাড়াও সীমান্তে আগামীকাল পহেলা বৈশাখের দিন বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হবে। বিজিবি টহল বাড়ানো হবে।

 

এম হাসান

×