ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

পাবনায় জমজমাট বেচাকেনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা

প্রকাশিত: ২২:৪৫, ২ এপ্রিল ২০২৪

পাবনায় জমজমাট বেচাকেনা

জামদানি শাড়ি দেখছেন নারীরা

ঈদ যত এগিয়ে আসছে বিপণীবিতানে ক্রেতাদের ততই ভিড়। শহরের খান বাহাদুর শপিংমল, স্টার কমপ্লেক্স, হাজী মার্কেট, হুমায়রা মার্কেট, সেভেন স্টার, এআর প্লাজা, এআর কর্ণার, নিউ পয়েন্ট, নিউমার্কেট, রবিউল মার্কেট, পৌর হকার্স মার্কেট, নিক্সন মার্কেট, আওরঙ্গজেব সড়ক, মহিলা কলেজ রোডসহ বিভিন্ন মার্কেটে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের জমজমাট ভিড়ে ঈদের কেনাকাটা চলছে।

এসব মার্কেটে পোশাক থেকে শুরু করে প্রশাধনী, জুতা, গহনা, ঘরের অন্দরসজ্জা সামগ্রী, ক্রোকারিজ ও ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রসহ বিভিন্ন পণ্য কিনতে ক্রেতারা ভিড় করছেন। জেলা থেকে উপজেলার বিপণিবিতানে একইভাবে ঈদের কেনাকাটাতে ক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের বিপণিবিতান ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ক্রেতা শাড়ি, লুঙ্গি, শিশু পোশাকের দোকানসহ গার্মেন্টস দোকানে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। প্রচ- গরম উপেক্ষা করে ক্রেতারা প্রিয়জনের ঈদের পোশাক কিনতে এ দোকান সে দোকানে ভিড় করছেন।

দোকানিরা ক্রেতার পছন্দ মাথায় রেখে পর্যাপ্ত পাইনি সিল, ফুয়াংফু, হুসকি, কাঞ্জুবরণ, চেন্নাই সিল, জর্দান কাতান আর অরগানডা শাড়ির পাশাপাশি দেশে তৈরি কমল, প্যাটেলস, জয়পুরী ও ভারতীয়, পাকিস্তানি ডিজাইনের জমজম, লাকজেরি, বিনহামিদ, চিনন, ভিভেক থ্রিপিস লেহেঙ্গা, ছেলেদের বিভিন্ন ব্রান্ডের পাঞ্জাবি, শার্ট-প্যান্টের সমারোহে দোকান সাজানোয় ক্রেতারাও বেশ আনন্দের সঙ্গে কেনাকাটা করছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। তবে ক্রেতাদের বড় অংশ বলছেন পোশাকের দাম এবার গত বারের তুলনায় বেশি নেওয়া হচ্ছে। 
 
ঈশ^রদীতে ক্রেতার চাপ
স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ^রদী থেকে জানান, জমে উঠেছে ঈদবাজার। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী নারী-পুরুষের ভিড় এখন ঈশ^রদীর ছোট-বড় প্রায় বিশটি বিপণি কেন্দ্র ও শপিংমলে। রোজার শুরুতে মার্কেটগুলোয় দেখা গেছে মধ্যবিত্ত, রাশিয়ান নারী পুরুষ ও অপেক্ষাকৃত বিত্তবানদের কেনাকাটা। কিন্তু এখন সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে রাশিয়ান নাগরিকরাও মার্কেটমুখী। ফলে বিপণি কেন্দ্র ও শপিংমল এলাকাগুলোয় প্রতিদিনই পরিলক্ষিত হচ্ছে ক্রেতার চাপ।

যশোরে নারীদের পছন্দ ঢাকাই জামদানি
স্টাফ রিপোর্টার যশোর অফিস থেকে জানান, শাড়ির প্রতি নারীদের আকর্ষণ যেকোনো উৎসবে একটু বেশি। এবারের ঈদে নারীদের পছন্দের শীর্ষে টাঙ্গাইল সুতি ও ঢাকাই জামদানি শাড়ি। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রমজানের শুরুর দিকে বিক্রি তেমন একটা ছিল না। তবে ১৫ রমজানের পর থেকে বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে। চলতি এপ্রিলে নতুন মাসের বেতন-বোনাস পাবেন চাকরিজীবীরা। তখন বিক্রি আরও বাড়বে।

যশোর শাড়ি কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তন্ময় সাহা বলেন, ঈদের সময় মানুষজন তাদের পরিবার-পরিজনের জন্য শাড়ি কেনেন। সেজন্য আমরা সব বয়সী নারীদের ব্যবহার উপযোগী শাড়িই রাখি। বেচাকেনা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। শাড়ি বিক্রেতা পাড় আঁচলের প্রোপাইটর মোস্তাফিজুর রহমান মুস্তা বলেন, এবারের ঈদে টাঙ্গাইল সুতি, ঢাকাই জামদানি ও সুতির শাড়ি বেশি চলছে।

আমাদের এখানে সাড়ে ৫শ’ থেকে ২২ হাজার টাকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। প্রিন্টের এবং টাঙ্গাইলের শাড়ি ৫শ’ টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা। বিলকিস বেগম নামে এক গৃহিনী বলেন, ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যাব। শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের জন্য টাঙ্গাইলের শাড়ি কিনেছি। বাজেটের মধ্যে হওয়ায় স্বাচ্ছন্দ্যে শাড়ি কিনতে পেরেছি।

গাইবান্ধায় বেড়েছে বিক্রি 
নিজস্ব সংবাদদাতা গাইবান্ধা থেকে জানান,  গাইবান্ধায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে সব ধরনের পোশাক দোকানে দোকানে ঝুলছে। শহরের অভিজাত  বিপণিকেন্দ্রগুলোতে এখন ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। দাম একটু বেশি হলেও অনেক রাত পর্যন্ত পছন্দমতো কাপড় কিনছেন নারী-পুরুষ। বিক্রি করতে পেরে বিক্রেতারাও অনেক খুশি। 
গাইবান্ধা জেলা শহরের সালিমার সুপার মার্কেট, তরফদার ম্যানশন, পার্কভিউ সুপার মার্কেট, ইসলাম প্লাজা, পৌর মার্কেটসহ সব কটি মার্কেটে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।তরফদার ম্যানশনের কাজী নাহিদ জানান, বাজারে পোশাকে যথেষ্ট বৈচিত্র্য রয়েছে। তবে তরুণী ও কিশোরীদের নজর কেড়েছে বিভিন্ন ধরনের বাহারি পোশাকের দিকে। এ ছাড়াও রয়েছে কুর্তি, লেহেঙ্গা, লাচ্ছি লেহেঙ্গা, দোপাট্টার দিকে। বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের লেহেঙ্গা। সেগুলো ৩ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে। অন্য পোশাকগুলোর দাম ২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার ভেতরে।

রাণীশংকৈলে জমে উঠেছে
নিজস্ব সংবাদদাতা, রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও থেকে জানান,  বিভিন্ন মার্কেট, বিপণিবিতান আসন্ন ঈদের কেনাকাটায় জমে উঠেছে।  সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণিবিতানে শিশু-কিশোর- কেশোরীসহ নারী-পুরুষ ক্রেতার আনাগোনা বেড়েছে। নানা পেশার লোকজন তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মার্কেটে ভিড় করছেন এবং কিনছেন পছন্দের জামা কাপড়। ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে মার্কেট ও বিপণিবিতানের বাইরে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। জানা যায়, রাণীশংকৈল উপজেলার পৌর বন্দর চৌরাস্তা মার্কেট, নেকমরদ ও কাতিহার বাজার বড় মার্কেটসহ ছোটখাটো বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণিবিতানে নানা ধরনের দেশী-বিদেশী পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।
 
লালমোহনে ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জিপাড়ায় 
নিজস্ব সংবাদদাতা লালমোহন ভোলা থেকে জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জিপাড়ায়। লালমোহন উপজেলার দর্জির দোকানগুলোর কারিগররা সবাই ব্যস্ত। কেউ সেলাই, কেউ বোতাম লাগানোয়, কেউ কাপড় কাটায়, আবার কেউবা ইস্ত্রি করে অর্ডার বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তৈরি জামা-কাপড় সাজিয়ে রাখছেন। যেন কারওই দম ফেলানোর সময় নেই। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে ভোর রাত পর্যন্ত দর্জিপাড়ায় চলছে কাজ। দর্জিপাড়ার এমন চিত্র দেখলে মনে হবে এ যেন সুই-সুতার বিরামহীন যুদ্ধ। লালমোহন পৌরশহরসহ উপজেলার সকল হাট-বাজারেই এখন দর্জি কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের ভীষণ ব্যস্ততা। তাদের এ ব্যস্ততা থাকবে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত।

×