ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

বাঁধের মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, অপসারণ না করেই বাঁধ নির্মাণ

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:১২, ২০ জানুয়ারি ২০২৪

বাঁধের মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, অপসারণ না করেই বাঁধ নির্মাণ

বিদ্যুতের খুঁটি। ছবি: জনকণ্ঠ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মাঝখানে ঝুঁকিপূর্ণ একাধিক বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই চলছে মেরামতের কাজ। খুঁটির চারপাশে মাটি খননের ফলে যে কোন মহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। 

শনিবার (২০জানুয়ারি) সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চিলমারী ও উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর ভাঙনরোধ শীর্ষক প্রকল্পে, অনন্তপুর মাঝিপাড়া হতে বুড়াবুড়ি বাজার পর্যন্ত চৌদ্দ কোটি ৯৭ লাখ ২১ হাজার ৮শ ৮৪ টাকা ব্যয়ে পাঁচ হাজার ৮শ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাটের সুবিধার্থে বাঁধের মাঝখানে ভেকু দিয়ে কেনেল খুঁড়ে ওই মাটি দিয়ে দু‘পাড় উচুঁ করে। 

খননের আগে বাঁধের দু‘পাশে কয়েক হাজার গাছ, বাশঁ কেটে ফেলা হলেও মধ্য দিয়ে রয়ে গেছে ১১ হাজার ভোল্টেজ ক্ষমতাসম্পন্ন একাধিক বিদ্যুতের খুঁটি। ওই এলাকার সাধারণ মানুষজনের আশঙ্কা, খুঁটি উপরে পড়ে যে কোন মহুর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বিদ্যুতের খুঁটি গুলো জরুরি ভাবে অপসারণের দাবী এলাকাবাসীর। 

কদমতলা অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃগেন্দ্রনাথ রায় বলেন, বাঁধ রাস্তা দিয়েই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসেন। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বাঁধের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই মাটি খনন করতেছে। অসংখ্য বিদ্যুতের তার বাঁধের দু‘পাশে মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে এলোমেলো ভাবে পড়ে আছে। যে কোন মহুর্তে মারাত্মক দূর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। 

কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (কুড়িলাপবিস) উলিপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সোহানুর রহমান জানান, বাঁধের মাঝে ৪৭টি খুঁটি পড়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বিদ্যুতের খুঁটি গুলো অপসারণের জন্য আমার কাছে একটি আবেদন করেন। খুঁটি গুলো অপসারণ করতে গেলে ১০টি খুঁটি নষ্ট হবে। যেগুলো ব্যবহার করা যাবে না। 

আবার ৩৭টি খুঁটি প্রতিস্থাপন করতে নতুন করে আরো ৩৬টি খুঁটি লাগবে। মোট ৭৩টি খুঁটি অপসারণ ও প্রতিস্থাপনের ব্যয় হিসেবে ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪শ ২৬ টাকা কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি‘র অনুকুলে জমা দেয়ার জন্য কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কে চিঠিটি দিয়েছি। কিন্তু কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন টাকা জমা দেয়নি। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও খুঁটিগুলো অপসারণ করতে পারছি না। 

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা কেন বিদ্যুতের খুঁটি সরানো খরচ দিবো। অনুমতি না নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় খুঁটি স্থাপন করিয়েছেন। তারা তাদের খরচে খুঁটিগুলো সরিয়ে নিবেন। 

 এসআর

×