আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার শিকার হয়েছেন।
বগুড়া-৪ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার শিকার হয়েছেন।
রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাহালু বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় হিরো আলমের দুই সমর্থক মোর্শেদুল রবি ও আব্দুস সালাম আহত হয়েছেন।
হামলার জন্য হিরো আলম কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন। আহত তার দুই সমর্থককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : স্বতন্ত্রই নৌকার হুমকি
আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী। তিনি এবার দলটির ডাব মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর আগে গতকাল শনিবার নন্দীগ্রামের মুরাদপুর বাজারে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ আনেন হিরো আলম।
আজ রাত ৮ টার দিকে হিরো আলম বগুড়া সদরের এরুলিয়ায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে জানান, পাঁচপীর এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে ১০-১৫ জন কর্মী সমর্থকসহ তিনি কাহালু বাজারে আসেন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ও মৎস্য ব্যবসায়ী রমজান তাদের প্রচারণা চালাতে নিষেধ করেন। একপর্যায়ে রমজানের সঙ্গে উপজেলা তাঁতিলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা যোগদিয়ে হিরো আলমে ওপর প্রথমে হামলা চালানো হয়। এ সময় তাকে বেধড়ক মারধর করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে হিরো সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরও মারধর করা হয়। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যমের হাতে আছে।
হিরো আলম বলেন, গতকাল নন্দীগ্রামে হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এরপরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমাকে এত ভয় কেন? তারা বুঝতে পেরেছে আওয়ামী লীগের গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বারবার তানসেনের পক্ষ নিয়ে আমার ওপর হামলা চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, হামলার সময় বিএনপি সাবেক এমপি ও এবারে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিউয়াউল হক মোল্লার দুজন সমর্থকও ছিলেন। তবে তাদের পরিচয় জানি না। এসব হামলা করে লাভ হবে না। প্রয়োজনে আমাকে হত্যা করেন তবে আমার কোনো সমর্থককে মারধর করবেন না। ভোটের শেষদিন পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব। হিরো আলমকে হত্যা না করা পর্যন্ত ভোটের মাঠ থেকে সরানো যাবে না। আজকের হামলার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করবো। পাশাপাশি দুদিনের হামলার ঘটনা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানাবো।
এ বিষয়ে জানতা চাইলে কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, কাহালুতে আওয়ামী লীগের সরাসরি কোনো প্রার্থী নেই। তাই কারও সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানোর প্রশ্নই আসে না। এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর দায় সংগঠন নিবে না।
কাহালু থানা পুলিশের ওসি সেলিম রেজা বলেন, হামলার ঘটনায় একজনকে শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। আশরাফুল উনি এখনও লিখিত অভিযোগ জানায়নি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
টিএস