ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জ জেলা

ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত ॥ ভোটাররাও উন্মুখ

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ০০:১৯, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত ॥ ভোটাররাও উন্মুখ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের ছয়টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট কেন্দ্র প্রস্তুত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের ছয়টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট কেন্দ্র প্রস্তুত। ভোটাররাও উন্মুখ হয়ে আছেন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য। বিশেষ করে নতুন ভোটাররা শান্তিপুর্ণ পরিবেশে ভোট দেওয়ার স্বপ্ন দেখছে। ইতোমধ্যেই ভোট কেন্দ্রভিত্তিক ভোটার সচেতনতা গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ একটি অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আওয়ামী লীগসহ প্রতিদ্বন্দ¦ী প্রার্থীরা  প্রত্যাশা করছেন।
জেলার ছয়টি নির্বাচনী এলাকায় মোট ৪৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েিেছলেন। সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের দুই বারের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র পদে মনোনয়নপত্র তুললেও তা জমা দেননি। ৩ ও ৪ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে জাকের পার্টি, তৃণমূল বিএনপি প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। চাহিদা মতো কাগজপত্র সংযুক্ত না থাকায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। আসনওয়ারী প্রার্থীরা হলেনÑ
সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর ও সদরের একাংশ) ॥ প্রার্থীর সংখ্যা ৫ জন। প্রার্থীরা হলেন প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় (আওয়ামী লীগ), মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম (জাতীয় পার্টি) সাইফুল ইসলাম (জাসদ) শফিকুল ইসলাম (এনপিপি) ও সবুজ আলী (বিএনএম)।  অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে তার নির্বাচনী এলাকায় জাতীয় পার্টি, জাসদসহ অপরাপর দলসমূহের প্রার্থীদের স্বাগত জানিয়ে তিন প্রজন্মের রাজনীতিক আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় বলেছেনÑ প্রত্যেক প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করবেন, তাদের প্রত্যেকেরই কাজীপুরের উন্নয়নে মতামত প্রকাশ এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ একটি অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভূমিকা থাকবে বলে প্রত্যাশা করেন। তাঁর নির্বাচনী এলাকার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে আসেন এবং পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেনÑ চ্যালেঞ্জের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি যেন আরও বেশি হয়, সে জন্য তার দল সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। ইতোমধ্যেই ভোটারদের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কাজ শুরু হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ-২ (সদরের একাংশ ও কামারখন্দ) ॥ বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা চারজন। তার হচ্ছেন ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী (আওয়ামী লীগ), আমিনুল ইসলাম ঝন্টু (জাতীয় পার্টি), মো. আব্দুর রুবেল সরকার (জাকের পার্টি) ও সাদাকাত হোসেন খান (ওয়ার্কার্স পার্টি) নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত প্রার্থী ড. হেনরী তালুকদার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য দলের প্রার্থীদের  নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে গণতন্ত্রকে অধিকতর শক্তিশালী করার প্রক্রিয়াকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন তাঁর নির্বাচনী এলাকার মানুষের প্রত্যাশা। জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণে আমরা সকল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিরঙ্কুশ সহযোগিতা করতে চাই। ভোটাররা যেন নির্বিঘেœ ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে সে ব্যাপারেও আমার দল আওয়ামী লীগও সহযোগী সকল সংগঠন ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে। ইতোমধ্যেই সেন্টার কমিটি গঠনের কাজও শুরু হয়েছে।  দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী সহযোগিতা করবেন। অপরাপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নিকট থেকেও এ ব্যাপারে সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ ও তাড়াশ) ॥ এ আসনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা চারজন। তারা হচ্ছেন ডা. আব্দুল আজিজ (আওয়ামী লীগ) দ্বতীয় বার মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে। এ ছাড়া আলমগীর হোসেন (জাকের পার্টি), গোলাম মোস্তফা (বিএনএম) ও জাকির হোসেন (জাতীয় পার্টি) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লপাড়া) ॥  এ আসনে জাতীয় পার্টির দুজনসহ বৈধ প্রার্থী চারজন। এরা হচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি (আওয়ামী লীগ), আবদুল্লাহ আল হাসেম (জাতীয় পার্টি), হিলটন প্রামাণিক (জাতীয় পার্টি) ও মোস্তফা কামাল বকুল (জাসদ) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।।
সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী) : তাঁত সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে পরিচিত এ আসনে নৌকা প্রতীক চেয়ে বঞ্চিত হয়ে সাবেক মন্ত্রী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে স্বতন্ত্র পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। এ ছাড়াও বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন ম-ল আওয়ামী লীগ থেকে দু’বার মনোনয়ন পেলেন। চৌহালীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফজলুল হক (জাতীয় পার্টি), নাজমুল হক (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ) ও আব্দুল হাকিম (বিএনএম) নির্বাচনী দৌড়ে মাঠে থাকছেন। তৃণমূল থেকে উঠে আসা আওয়ামী লীগের পোড় খাওয়া রাজনীতিক সাবেক মন্ত্রী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদ থেকে সদ্য পদত্যাগকারী স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ^াস জানান- জনগণের প্রত্যাশা পূরণের জন্যই নির্বাচনী মাঠে এ অঞ্চলের জনগণ আমাকে মাঠে নামিয়েছেন। ভোটাররাই আমার শক্তি। আগামী নির্বাচনে জনগণ আমাকে জয়যুক্ত করে প্রমাণ করবে তারা আওয়ামী লীগকেই ভালোবাসে। অবাধ ও  সুষ্ঠু নির্বাচনে তাঁর সমর্থকরা সক্রিয় সহযোগিতা করবে। ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে, তারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে।  
সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) ॥ মিল্ক ভিাটা, নৌ-বন্দর ও তেলের ডিপো এলাকা শাহজাদপুরে ৭ জন বৈধ প্রার্থী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এরা হচ্ছেন- চয়ন ইসলাম (আওয়ামী লীগ), মোজাম্মেল হক (জাসদ), তারিকুল ইসলাম (তৃণমূল বিএনপি), রেজাউল করিম বিপ্লব (জাকের পার্টি),  মোকতার হোসেন (জাতীয় পার্টি), কাজী মো. আল-আমিন (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি) ও মোহাম্মদ আলী (বিএনএম)।

×