নিহত মামুন
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের শীর্ষ সন্ত্রাসী, ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাবেক ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মামুন ওরফে হাতকাটা মামনুকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
সোমবার রাত ৮ টার দিকে ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের চৌরাস্তা নামক স্থানে প্রতিপক্ষরা তার মাথার উপর গুলি করে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
হাতকাটা মামুন ফরিদপুর ইউনিয়নে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হিসাবে পরিচিত। মামুন আলোচিত রনি হত্যা সহ দুটি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে বিভিন্ন থানায় ২২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকাতে টানা ৩ বার নির্বাচিত মেম্বর ছিলেন।
৫ ডিসেম্বর নিহত মামুনের ভাই সুমন জনকণ্ঠকে জানান, আমার ভাই মামুন পায়ে হেটে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে আক্রমন করে। তিনি দৌড়ে সড়কের পাশে বাগানের মধ্যে ঢুকে পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কোপায়। এসময় মৃত্যু নিশ্চিত করতে মামুনের মাথায় গুলি করে। ঘটনাস্থলে তার মস্তিষ্ক বের হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আমার ভাই নিহত হয়। তিনি আরো জানান এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবি জানান তিনি।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি অপারেশন মোস্তফা জানান, রাতে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়েছি মামুন মেম্বর খুন হয়েছেন। নিহত মামুনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীদের থানায় এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে এই হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উদঘাটনে ও হামলাকালীদের গ্রেফতারের অভিযান চলমান রয়েছে।
এবি