ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

চাঁদা চেয়ে বাড়ি বাড়ি পোস্টার, অপহরণের হুমকি

প্রকাশিত: ১৪:৪৪, ২ অক্টোবর ২০২৩

চাঁদা চেয়ে বাড়ি বাড়ি পোস্টার, অপহরণের হুমকি

বাড়ি বাড়ি লাগানো পোস্টার। 

বগুড়ায় চাঁদা চেয়ে বাড়ি বাড়ি পোস্টার লাগানো হয়েছে।  ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দাবি করে প্রতিটি বাড়িতে পোস্টার লাগানো হয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসীকে আতঙ্কিত না হতে স্থানীয় মসজিদ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় এবং এলাকায় পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন :বিয়েবাড়িতে ছবি তোলা নিয়ে ভাঙচুর, গ্রেফতার ৩

রবিবার (১ অক্টোবর) সকালে এমন পোস্টার দেখে কাহালু উপজেলার মুরইল ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মিস্ত্রিপাড়া, মোল্লাপাড়া, দপ্তরী পাড়া ও মাছগাড়ী এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

এদিকে, টাকা না দিলে আগামী ৭ অক্টোবর থেকে গ্রামের ছেলেমেয়ে হারিয়ে গেলে কারো কিছু করার থাকবে না বলে পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে গ্রামের অনেকেই তাদের সন্তানদের আজ স্কুলে পাঠাননি। আবার পুরুষ মানুষদের অনেকেই কাজেও যাননি।

পোস্টারে বলা হয়েছে, ‘৬ তারিখের মধ্যে টাকা দিতে হবে। না হলে ৭ তারিখ থেকে আপনাদের ছেলেমেয়ে হারায়ে গেলে আমাদের কোনো কিছু করার থাকবে না। আমি বা আমরা কে সেটা না খুঁজে, আমি যা বলছি সেটা করার চেষ্টা করেন, তাহলে কিচ্ছু হবে না। অল্প কিছু টাকার জন্য বাচ্চাদের বিপদে ফেলবেন না। যদি ছেলেমেয়েদের মঙ্গল চান তাহলে লোয়া পুকুর সোলার লাইটের সাথে যে বক্স থাকবে। নিজের টাকার সাথে একটা কাগজে নিজের নাম লিখে ওই বক্সে ফেলান আর নিজের বাচ্চাকে সুরক্ষিত করুন, ধন্যবাদ।’

পোস্টারে বলা হয়, ‘আমার এই কাগজ আপনি পড়ছেন, তাহলে মনে করেন আপনার ছেলেমেয়েকে তুলে আনতেও পারব। দয়া করে টাকাটা দিয়েন, আমরা ছেলেগুলো ভালো না। ভালো থাকবেন, ৬ তারিখ পর্যন্ত। আল্লাহ হাফিজ।’

মুরইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, ‘আমাদের ধারণা গ্রামের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা, যারা মাদকের সাথে জড়িত তারাই গ্রামে আতঙ্ক ছড়াতে এ ধরনের পোস্টারিং করেছে। গ্রামের মানুষের মধ্যে চাঁদা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় রবিবার রাত থেকে গ্রাম পুলিশ দিয়ে পুরো গ্রাম পাহারা দেওয়া হবে।’

কাহালু থানার ওসি মাহমুদ হাসান বলেন, ‘এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটা মাদকাসক্ত যুবকদের কাজ বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ ইতোমধ্যে জড়িতদের শনাক্ত করতে অনুসন্ধান শুরু করেছে। রাতে ওই গ্রামে পুলিশি টহল বাড়ানো হবে।’

এম হাসান

×