ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১

সেন্টমার্টিনে দুই শতাধিক পর্যটক আটকা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার 

প্রকাশিত: ১৭:১৭, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সেন্টমার্টিনে দুই শতাধিক পর্যটক আটকা

বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঘাট থেকে ছাড়ছেনা জাহাজ। ছবি: সংগৃহীত।

বৈরী আবহাওয়া ও সাগর উত্তাল থাকার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া দুই শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। 

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনা এড়াতে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিনে যেতে দেওয়া হয়নি। দ্বীপে অবস্থানকারী পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সৈকতে পর্যটকদের না নামতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আবার জাহাজ চলাচল শুরু হবে।’ 

এর আগে শুক্রবার সকালে টেকনাফ থেকে এমভি বার আউলিয়া জাহাজে করে ৮৫২ জন পর্যটক সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে যান। দুপুরের পর থেকে বৈরী আবহাওয়া কারণে ওই জাহাজে করে ছয় শতাধিক পর্যটক টেকনাফ ফিরে এলেও অন্যরা দ্বীপে অবস্থান করেন। আদনান চৌধুরী বলেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে কক্সবাজারে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এতে সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে উপকূলের নৌযানগুলোকে সাবধানে চলাচল করতে নির্দেশ দিয়েছে। 

এদিকে, শনিবার বিকেলেও কক্সবাজার সাগর উপকূলে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত অব্যাহত থাকায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। এ কারণে সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

বিআইডব্লিউটিএ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক ও টেকনাফে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নয়ন শীল  বলেন, ‘চলতি মৌসুমে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে প্রতিবন্ধকতা যাচাই করতে পরীক্ষামূলকভাবে এমভি বার আউলিয়া নামের পর্যটকবাহী একটি জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। মূলত সাত দিনের জন্য আপাতত জাহাজটি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে সফলতা পাওয়া গেলে পরে ওই জাহাজটিসহ অন্যগুলোকেও চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।’

এম হাসান

×