
উপজেলার ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ উপকেন্দ্র ঘাটে নারী শ্রমিকরা মাছ বাছাই করছে
বরগুনার তালতলী উপজেলার ফকিরহাট মৎস্য অবতরণ উপকেন্দ্র ঘাটে নারী শ্রমিকদের কদর বেড়েছে। নদীতে ইলিশ, রূপচাঁদা, পোয়া, ফ্যাহা, রামসোস, জাবা, ছুরি, ডাডি, ট্যাংরা, লটিয়া, সোনাপাতা, কাওইন ও চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। এই মাছ বাছাই করার জন্য প্রয়োজন হয় নারী শ্রমিকের। এতে নারী শ্রমিকদের কদর বেড়েছে। সারা বছরই নারী শ্রমিকদের আনাগোনা থাকে এই ঘাটে।
নারী শ্রমিক আছিয়া বেগম বলেন, এত অভাবে থাকি তবুও কারও কাছে হাত পাতি না। ভোরে এ মৎস্যঘাটে কাজ করতে আসছি। আমাদের ঘর আছে কিন্তু ঘরের চাল নেই। আমার পরিবারের রোজগারের একমাত্র উপায় এটাই। তাই আমি কাজ না করলে পেটে ভাত দেওয়ার লোক নেই।
আরেক নারী শ্রমিক চান ভানু বলেন, এ ঘাটে কাজ করতে এলে অনেক সময় মানুষ নানা রকম বাজে কথা বলে। তখন খুব কষ্ট হয়। কিন্তু তখন নিজের মনকে বুঝ দিই যে, অসুস্থ স্বামী ও পরিবারের কথা চিন্তা করে এখানে কাজ করতে আসি। আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান ফরাজী বলেন, এই ঘাটে সবসময়ই নারী শ্রমিকদের কদর বেশি থাকে। তবে শীত মৌসুমে নারী শ্রমিকদের চাহিদা বেশি থাকে। সারা বছর নদী থেকে বিভিন্ন জাতের মাছ শিকার করা হয়। এগুলো দেশের অনেক স্থানে সরবরাহ করা হয়। এই মাছ বাছাই করার জন্য নারী শ্রমিক দরকার হয়। তবে বর্তমান বাজারের যে অবস্থা তাতে এই মজুরিতে হয় না তাদের। আমরা সকল ব্যবসায়ী মিলে খুব দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, মজুরীর বিষয়ে ওখানের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।