
চোরাই কাঠ
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে চোরাই কাঠের ছবি তুলতে গেলে দুই সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এ ঘটনার নেপথ্যে বন কর্মকর্তা রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে সোমবার বিকালে (১ মে) উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গুরুচরনদুধনই এলাকায়। ওই দুই সাংবাদিক হলেন- গ্লোবাল টেলিভিশনের শেরপুর প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবু হেলাল ও মানবকণ্ঠের ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রতিনিধি জিয়াউল হক।
জানা গেছে, চোরাই কাঠ ব্যবসায়ীরা কাঠ চোরদের অগ্রীম টাকা দিয়ে কাঠ চুরিতে উৎসাহ যোগাচ্ছে। আর কাঠ চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা গারো পাহাড়ের শালগজারীসহ সামাজিক বনের উডলট বাগানের গাছ কেটে নির্বিচারে সাবার করে দিচ্ছে। কাঠ চোরদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে এসব কাঠ ক্রয় করে আসছে। ব্যবসায়ীরা এসব কাঠ শেরপুর জেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে এসব কাঠ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য গারো পাহাড়ের কুল ঘেষে গান্দিগাঁও,বাকাকুড়া গুরুচরনদুধনই,পনবর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ীরা চোরাই কাঠ ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে।
সোমবার বিকাল চারটায় গুরুচরনদুধনই গ্রামের আবুল কাশেমর বাড়িতে রাখা প্রায় দুইশ সিএফটি চোরাই কাঠের ছবি তুলতে যান ওই দুইজন সাংবাদিক। এসময় আবুল কাশেমসহ তার লোকজন ওই দুই সাংবাদিককে প্রথমে ছবি তোলতে বাঁধা দেন। এ সময় ওই দুই সাংবাদিক রেঞ্জ কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দকে বিষয়টি অবহিত করেন। মকলরুল ইসলাম আকন্দ ঘটনার প্রায় ১ ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
অভিযোগ রয়েছে মকরুল ইসলাম আকন্দ কাঠ চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তার লোকজনকে দিয়ে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করান। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদের হস্তক্ষেপে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে কাঠচোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক জিয়াউল হক ৪ জনের নামে ও আরো ৭০/৮০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে ঝিনাইগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অপরদিকে রাংটিয়া ফরেষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মকরুল ইসলামের কুপরামর্শে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের উদ্দেশ্যে কাঠচোর সিন্ডিকেটের সদস্যদের দিয়ে চার সাংবাদিকের নামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করান।
এছাড়া মকরুল ইসলাম আকন্দ সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা বন মামলা দায়ের করে হয়রানীর হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। ফলে ঝিনাইগাতীতে কর্মরত সাংবাদিকর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুফের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি মকরুল ইসলাম আকন্দের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
এসআর