ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পায়রায় সরাসরি ভিড়ল ৪১ হাজার মেট্রিকটন কয়লাবাহী জাহাজ 

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ১১ এপ্রিল ২০২৩

পায়রায় সরাসরি ভিড়ল ৪১ হাজার মেট্রিকটন কয়লাবাহী জাহাজ 

জাহাজ 

কলাপাড়ায় দেশের তৃতীয় পায়রা বন্দরে এবার ৪০ হাজার ৯৫০ মেট্রিকটন কয়লাবাহী জাহাজ ভিড়ল।  পতাকাবাহী ইন্দোনেশিয়ার বালিকপানান বন্দর থেকে ছেড়ে আসা ‘মেসিনিয়ান স্পায়ার’ নামের এই বিদেশি জাহাজটি সোমবার বন্দরের ইনার অ্যাঙ্করে নোঙর করেছে। এই দ্বিতীয়বারের মতো ১০ দশমিক দুই মিটার গভীরতার জাহাজ ইনার অ্যাঙ্করে নোঙর করল। জাহাজটি ১৯০মিটার দীর্ঘ এবং প্রস্থ ৩২ মিটার। বর্তমানে সাড়ে দশ মিটার গভীরতম জাহাজ ইনার আ্যঙ্করে নোঙরের সক্ষমতা রয়েছে। পায়রা বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আজিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন এটি এ বন্দরের জন্য আরেকটি সাফল্য।

গত ২৬ মার্চ,স্বাধীনতা দিবসে পায়রা বন্দরের ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রাবনাবাদ চ্যানেলের নাব্যতা সাড়ে দশ মিটার ঘোষণা দেয়া হয়। বর্তমানে এই চ্যানেলটি দেশের সবচেয়ে বেশি গভীরতম চ্যানেল বলে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি। বন্দর সুত্রে জানা গেছে, এখন নিয়মিত বড় জাহাজ পণ্য নিয়ে এ বন্দরে ভিড়বে। সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যয় বেলজিয়ামের জান ডে লুন ড্রেজিং প্রতিষ্ঠান এই চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিংএর কাজ সম্পন্ন করে। অনেক গবেষণা ও সমীক্ষার পর এ চ্যানেলটি গভীরতম চ্যানেলে পরিণত হয়। ফলে আগামিতে ৬০ হাজার মেট্রিকটন বোঝাই প্যানাম্যাক্স জাহাজ সরাসরি বন্দরের টার্মিনালে ভিড়তে পারবে বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষ। চ্যানেলটির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষন ও ড্রেজিং কাজ ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলমান থাকছে। সরাসরি মাদার ভ্যাসেল থেকে কয়লা খালাসের সুযোগে পায়রা তাপ বিদ্যুতকেন্দ্রের কয়লা পরিবহন ব্যয় বহুগুনে কমবে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা বন্দরের উদ্বোধন করেন। ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট বন্দরের পণ্য খালাস কার্যক্রমের চালু করেন। এখন বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের চারিপাড়ায় প্রথম টার্মিনালের কার্যক্রম শেষের পথে। চলছে সড়কের উন্নয়ন কাজ। এখন দক্ষিণের এ জনপদের এই বন্দর দেশের অর্থনৈতিক  যোগান দিচ্ছে। রয়েছে দিনরাত কর্মমুখর। পায়রা বন্দর একটি পরিকল্পিত বন্দর। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও উন্নতমানের সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে নেয়া হয়েছে বন্দরের মাস্টারপ্লান। মাস্টারপ্লান অনুসারে বন্দরের উন্নয়ন কাজ দ্রুত বাস্তবায়িত হচ্ছে। একটি আধুনিক বন্দর হিসেবে আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদাণের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলছে পায়রা বন্দরের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ।
 

টিএস

×