ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

সড়ক নয় যেন খাল দুর্ভোগ চরমে

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ও নিজস্ব সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ

প্রকাশিত: ০০:৫৮, ৩০ মার্চ ২০২৩

সড়ক নয় যেন খাল দুর্ভোগ চরমে

বাকেরগঞ্জের কালিগঞ্জ বাজার থেকে লোচনাবাদ সড়কের মাটি খুঁড়ে ফেলে রাখায় বৃষ্টি জমে খালে পরিণত

জনগুরুত্বপূর্ণ এক কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে গত সপ্তাহের সামান্য বৃষ্টির পানি জমে এখন থৈ থৈ করছে। সড়কটির দিকে তাকালেই যে কোনো মানুষের মনে হবে এ যেন একটি খাল। বিকল্প সড়ক না থাকায় তিন গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দার চরম দুর্ভোগের মধ্যে এ সড়ক দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নে সড়কটির অবস্থান।

ওই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ বাজার থেকে শুরু করে ফালাঘর গ্রাম হয়ে লোচনাবাদ পর্যন্ত সড়কের এক কিলোমিটার অংশ দীর্ঘদিন থেকে মাটি খুঁড়ে ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই মাটি খুঁড়ে রাখা সড়কের মধ্যে পানি জমে খালে পরিণত হওয়ায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন ওই তিন গ্রামের বাসিন্দারা। 
ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর দাবি, ওই সড়ক দিয়ে কালিগঞ্জ ছোফরোন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, বজলুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সেন্ট আলফ্রেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ তিন গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দার চলাচল করতে হয়।  ঠিকাদার ইব্রাহীম হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একাধিক ড্রেজার মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি, ওই এলাকায় কেউ বালু দিতে চায়না। কারণ কালিগঞ্জ বাজার এলাকায় একাধিক গ্রুপ রয়েছে।

তাদের চাঁদা না দিলে কোনো ড্রেজার মালিক ওই এলাকায় বালু ফেলতে পারেনা। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বশির শিকদারের সঙ্গে কথা হয়েছে, চেয়ারম্যানের মাধ্যমে একটি ড্রেজার বসিয়ে রাস্তাটি দ্রুত নির্মাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। বাকেরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া বলেন, অনেক চেষ্টা করেও ঠিকাদারকে দিয়ে কোনোভাবেই কাজ করানো যাচ্ছেনা।
 
সংস্কারহীন রাস্তায় ১৫ গ্রামবাসী নাকাল
নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা থেকে জানান, সাঁথিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে চাকলা মোল্লাবাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ইট- সুরকি উঠে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলেছে। রাস্তাটিতে মাটি বের হওয়ায় একটু বৃষ্টিতেই কাদা লেপ্টে গিয়ে ভ্যান, মোটরসাইকেল দূরের কথা পায়ে হেঁটে যাতায়াত করাটাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ করমজা ইউনিয়নের হেঙ্গুয়া, শশোদিয়া, আফড়া, শামুকজানি, পুন্ডুরিয়া, বড়গ্রাম, দত্তপাড়া, নতুনপাড়াসহ ১৫টি গ্রামের বাসিন্দাদের এ রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে।

পুন্ডুরিয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ খান জানান, এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ইট-সুরকি উঠে মাটি বেরিয়ে যাওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হচ্ছে।  এলাকাবাসীর অভিযোগ, বছরের পর বছর তারা দুর্ভোগের মধ্যে যাতায়াত করলেও জনপ্রতিনিধিরা এ বিষয়ে কিছু করছেন না। করমজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হোচেন আলী বাকচি জানান, তিনি রাস্তাটি নিয়ে বিব্রতবোধ করছেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বারবার জানানোর পরেও সড়কটি সংস্কার করা হচ্ছে না। তিনি এ সড়কটি দ্রুত সংস্কারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এলজিইডি সাঁথিয়া থানা ইঞ্জিনিয়ার ফজলুল হক জানান, এ বিষয়টি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

×