
উখিয়ায় পাহাড় কেটে চলছে মাটি লুট
উখিয়ার পালংখালী খাল থেকে বালু উত্তোলনের নামে পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে। ওই খালে বালু উত্তোলনের নামে পাহাড় কাটার ইজারা বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবি করেছেন এলাকাবাসী ও পরিবেশবাদীরা। গত দুই বছরে পালংখালী ও থাইংখালী খালের বালু উত্তোলনের নামে ৫৭টি পাহাড় নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে খালের বালু উত্তোলনকারীরা। এদিকে পালংখালী খালে কোনো বালু না থাকলেও কেন বালু ইজারার নামে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এলাকার সচেতন মহল। তারা পালংখালী খালের ইজারা বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাফ্ফর আহমদ জানান, পালংখালী খাল বালু উত্তোলনের জন্য ইজারা দেওয়া হলে যে সব পাহাড় অবশিষ্ট আছে- ভবিষ্যতে পাহাড় বলতে আর কিছুই থাকবেনা। থাইংখালী ও পালংখালীতে গত বছর বালু উত্তোলনের নামে শত শত অবৈধ ট্রাক মিনিট্রাক ও ডাম্পার দিয়ে পাহাড় কেটে বিরানভূমি বানিয়েছে বালুখেকুরা। এ বিষয়ে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর পাহাড়খেকোদের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলায় প্রায় পাঁচশ’ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ সময় উদ্ধার করা হয় মাটি কাটার এক্সকেভেটর, বালুভর্তি ডাম্পার এবং মিনিট্রাকসহ বালু ও মাটি কাটার সরঞ্জামাদি। পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরীসহ নিরীহ লোকদের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলাও করেছে এসব পাহাড়খেকো বালু সিন্ডিকেট।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান জানান, যেসব খাল ইজারা দেওয়ার মতো মনে হয়েছে- মূলত সেসব খালের বালু ইজারা দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। যদি অনুসন্ধান করে দেখা যায় খালে বালু নেই, বালু উত্তোলনের নামে পাহাড় কাটা হতে পারে- তাহলে সেই খালের ইজারা বন্ধ রাখা হবে। এমনকি খালের বালু উত্তোলনের ইজারা নিয়ে পাহাড় কাটা হলে ইজারা বাতিল করা হবে। স্থানীয় এলাকাবাসী থাইংখালী খালের ন্যায় পালংখালী খালকে ইজারা না দিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।
কক্সবাজার পরিবেশ আন্দোলন বাপার সভাপতি সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী জানান, প্রাণ প্রকৃতি, পাহাড় ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে পালংখালী খালকে বালু উত্তোলনের নামে ইজারা বিজ্ঞপ্তি বাতিল করা দরকার।