ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

প্রসূতি নিখোঁজ

টয়লেটে উদ্ধার নবজাতক ঘিরে রহস্য

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী

প্রকাশিত: ১৯:২২, ২৬ মার্চ ২০২৩

টয়লেটে উদ্ধার নবজাতক ঘিরে রহস্য

টয়লেটে উদ্ধার নবজাতক

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ড থেকে এক প্রসূতি নিখোঁজ হয়েছে। তার নিখোঁজের পর টয়লেট থেকে উদ্ধার হয় এক নবজাতক(ছেলে সন্তান)। কিন্তু নবজাতটির মা-বাবার পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের খাতায় যে ঠিকানা লিখা হয়েছে সেখানে সন্ধ্যান করেও পাওয়া যায়নি সেই প্রসূতি বা তার অভিভাবকদের। এ নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। এদিকে উদ্ধারের পর থেকে নবজাতকের দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্ট। 

রবিবার(২৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। সেখানে নবজাতকের চিকিৎসা চলছে। 

জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু রেজওয়ানুল কবীর জানান, শিশুটি শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য রমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে শিশুটির সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ পুলিশ ও প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা(আরএমও)মেজবাহুর রহমান বলেন,  হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে নবজাতকের মায়ের নাম শিউলী আক্তার। বয়স ১৪, ঠিকানা উপজেলার কৈইমারী ইউনিয়নের কুটিপাড়া গ্রাম রয়েছে। ওই কিশোরী প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসে। হাসপাতালে কাউকে কিছু না জনিয়ে টয়লেটে প্রসবের পর বাচ্চা রেখে পালিয়েছে।

হাসপাতালেল জরুরী বিভাগ সুত্র মতে, শনিবার(২৫ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে প্রসব ব্যথা নিয়ে এক কিশোরী ভর্তি হয়। তাকে মহিলা ওয়ার্ডের বিছানায় দেয়া হয়। সঙ্গে বেশ কিছু লোক ছিল। ভর্তির পর লোকগুলো হাসপাতালে বাহিরে চলে যায়। 

উপজেলা স্বাস্থ্য  কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ রেবেকা আলম পিংকি জানান, প্রসূতিকে ভর্তির পর  তার চেকআপ করা হয়। 

মহিলা ওয়ার্ডের এক মহিলারোগী আরজিনা বেগম জানান, ওই রোগীটা টয়লেট থেকে বেড়িয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করে চলে যায়। এ সময় টয়লেটে সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতককের কান্না শুনতে পেয়ে আমরা নার্সদের জানাই। পরে ডাক্তার ও নার্সরা  এসে নবজাতকটিকে টয়লেট হতে উদ্ধার করে।

জলঢাকা থানার ওসি ফিরোজ কবির জানান, হাসপাতালের রেজিষ্ট্রারে লিখা ঠিকানা অনুযায়ী আমরা সেখানে গিয়ে ওই নামের কাউকে খুঁজে পাইনি। এলাকাবাসী ওই নামের কাউকেই চেনেনা। ধারনা করা হচ্ছে হাসপাতালে ছদ্মনাম ও ভুল ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে। 

এমএস

×