ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

মঠবাড়িয়ায় তিন বছরেও শেষ হয়নি ১৫ শহীদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ

সংবাদদাতা, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর

প্রকাশিত: ০০:৩১, ২৬ মার্চ ২০২৩

মঠবাড়িয়ায় তিন বছরেও শেষ হয়নি ১৫ শহীদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ

ভীমনলীর ১৫ শহীদের স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণ শেষ হয়েও হয়নি শেষ

মঠবাড়িয়ার ভীমনলী গ্রামে ১৯৭১ সালের ২২ মে সংঘটিত প্রথম সম্মুখযুদ্ধে ১৫ শহীদের গণসমাধিস্থলে স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণকাজ গত তিনবছর আগে শুরু হলেও আজও সম্পন্ন ও হস্তান্তর হয়নি। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দান আর নিরাশ্রয় বাঙালির আশ্রয়দানের অপরাধে রাজাকারদের হামলা প্রতিহত করতে সেদিন মুক্তিকামী বাঙালি সম্মুখ লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন।

গত তিনবছর আগে গণপূর্ত বিভাগ এখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের উদাসীনতায় নির্মাণকাজ শেষ পর্যায় হলেও আজও কাজ সম্পন্ন করে তা হস্তান্তর করা হয়নি। শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্মৃতিস্তম্ভটি হস্তান্তরের আগেই চারদিকের বেশ কিছু রেলিং ভেঙে কেউ নিয়ে গেছে। অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে স্মৃতিস্তম্ভম্ভটি।

জানা গেছে, মঠবাড়িয়া সদর হতে ১৮ কিলোমিটার দূরের গ্রাম ভীমনলীর শহীদের গণসমাধিস্থলে ১০ শতক জমির ওপর গড়ে তোলা হচ্ছে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা বীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস স্মৃতিস্তম্ভের জন্য এ জমি দান করেন বলে জানা গেছে। এখানে গত তিন বছর আগে গণপূর্ত বিভাগের আওতায় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণ কাজ অদ্যাবধি শেষ হয়নি। প্রথম দফায় ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর আরো আট লাখ টাকা পুনঃ বরাদ্দে মোট ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে গণপূর্ত বিভাগ এ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়। মেসার্স রাজ অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণকাজ করেছে বলে জানা গেছে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বাচ্চু মিয়া আকন বলেন, মুক্তিযুদ্ধে উপকূলীয় মঠবাড়িয়ায় স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে নলী গ্রামের বাড়ই বাড়ির সম্মুখযুদ্ধ অন্যতম। শহীদের গণসমাধিতে গড়ে উঠছে দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিমিনার। কিন্তু গত তিনবছরেও নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়া দুঃখজনক। 
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঊর্মী ভৌমিক বলেন, ভীমনলী গ্রামে ১৫ শহীদের সমাধিস্থলে স্মৃতিস্তম্ভের কাঠামোর কাজ প্রায় সম্পন্ন। তবে ওই খানের রাস্তাসহ কিছু নির্মাণ কাজ এখনো অসম্পূর্ণ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত বিভাগ। আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করে দ্রুত নির্মাণ কাজ সম্পন্নের উদ্যোগ নেব।

×