ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিশুদ্ধ পানির দাবিতে পুকুর পাড়ে কলসি নিয়ে অবস্থান

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট

প্রকাশিত: ২১:২২, ২২ মার্চ ২০২৩

বিশুদ্ধ পানির দাবিতে পুকুর পাড়ে কলসি নিয়ে অবস্থান

পুকুর পাড়ে কলসি নিয়ে অবস্থান

বাগেরহাটের উপকূলীয় মোংলা ও রামপাল উপজেলায় ‘বিশ্ব পানি’ দিবসে পুকুরে পাড়ে কলসি নিয়ে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি ও পৃথক আলোচনা সভা বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে সুপেয় পানির দাবিতে বাগেরহাটের মোংলার দক্ষিণ কাইনমারি গ্রামে পুকুরে পাড়ে কলসি নিয়ে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে পানির অভাবে ভোগান্তির শিকার মানুষেরা। এ কর্মসূচিতে বেসরকারি সংস্থাও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অংশ গ্রহন করেন।

প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাপার মোংলার আহ্বায়ক ও পশুর রিভার ওয়াটার কিপার মো. নূর আলম শেখ। অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাপা নেতা কমলা সরকার, মার্টিন সরকার, হাছিব সরদার, জলবায়ুকর্মী তন্বী সরদার, চন্দ্রিকা মন্ডল, প্রভুদান সরদার, চিন্ময় ঢালী প্রমুখ। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ, লিডার্স ও পশুর রিভার ওয়াটার কিপার এ কর্মসুচীর আয়োজন করে।

অপরদিকে, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ ও বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থা সহযোগিতায় রামপাল উপজেলার পেড়িখালি ইউনিয়নের রোমজাইপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে র‌্যালি, জনসমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে এক্টিভিস্টা রামপালের সভাপতি শুক্লা মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রামপাল উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা মিলি। খোন্দকার মুসফিকুল ইসলাম রিতুর সঞ্চালনায় এ সময় রামজাইপুর গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক মানুষ তীব্র পানি সংকটের জন্য এবং বিশুদ্ধ পানির দাবিতে এসময় বিক্ষোভ করেন।

বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে আগের চেয়ে বহুগুণ। যার দরুন উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট দিন দিন আরও তীব্রতর হচ্ছে। প্রতিদিন পানির চাহিদা বাড়লেও বাড়ছে না সুপেয় পানির উৎস। দখল ও দূষণের কারণে এ অঞ্চলের সুপেয় পানির উৎস দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। 

এ ছাড়া অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনা, পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করার আহ্বান জানান তাঁরা। পানির অবাধ প্রবাহ ও ন্যায়সংগত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। 

টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা, প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষা ও পানিদূষণ কমাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অঙ্গীকারবদ্ধ। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলে নিরাপদ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।’ তারা দ্রুত এ সমস্যার কার্যকর সমাধান দাবী করেন। 

এমএস

×