ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সেতুর সংযোগ সড়কের অভাবে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ১৪:০৭, ১৮ মার্চ ২০২৩

সেতুর সংযোগ সড়কের অভাবে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

সেতু

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হারুয়ালছড়িতে বড়বিল-নয়াহাট এলাকার একটি সেতুর সংযোগ সড়কের জন্য ৬ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফটিকছড়ি খালের হারুয়ালছড়ি ১নং ওয়ার্ডের ওজানপাড়া ত্রিপুরা পাড়ার অংশে ৩৬ ফুটের সেতুটি খালের এক অংশে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে নির্মাণ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। বিশাল এ খালের উপর ছোট্ট এ সেতুটি যেন একপাশেই দাঁড়িয়ে আছে। 

যার কারণে সেতুটি নির্মাণের পর বছর না যেতেই পানির তীব্র স্রোতে সেতুর এক পাশ ভেঙে সড়ক তলিয়ে যায়। এ খালের এক অংশে সেতু বাকিটা ফাঁকা। বর্তমানে সেতুর একপাশে কোন সড়ক নেই। সড়ক থেকে সেতুর দূরত্ব প্রায় ৫০ থেকে ৬০ফুট। সাধারণ মানুষ খালের পানি পার হয়েই পায়ে হেঁটে যাতায়াত করছে।

স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে এ খালের পানি বেড়ে যায়। এত বেশি স্রোত থাকে নৌকা দিয়েও পারাপারের ঝুঁকি থেকে যায়। কত মানুষ যে এ খাল দিয়ে ভেসে গেছে তার কোন হিসাব নেই। সেতুটি  নির্মাণের পরের বছরে সেতুর উভয় পাশে ভেঙে যায়। ২-৩ বার ঠিক করা হলেও পানির তীব্র স্রোতে ছোট্ট এ সেতুর সড়কের এক পাশ ভেঙে গিয়ে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে। খরা মৌসুমে খালের পানি কমে গেলে খাল পার হয়ে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষায় এ গ্রামগুলোর মানুষ যাতায়াতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

জানা যায়, উজানপাড়া, টিলাপাড়া, ডেবিলিখুল, পিনপিনিয়া ও ২টি চা বাগানের শ্রমিক সহ ৬ গ্রামের  মানুষ চলাচল করে এ সেতু দিয়ে। বর্ষার সময় সব ধরনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের স্কুল/কলেজে যাওয়া-আসা। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতাল, ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া যায় না। 

১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত যাতায়াত বন্ধের কারণে ওই এলাকার মানুষের রোজি-রোজগার সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়ে। বর্তমানে খালের উপর যেখানে শত ফুট দীর্ঘ সেতুর প্রয়োজন,সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে ৩৬ ফুট। যার কারণে বর্ষায় পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ওই সেতুর পাশের সড়কের মাটি পানির স্রোতে চলে যায়। ফলে সেতু থেকে সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৫/১৬ অর্থ বছরে বড়বিল নয়াহাট সড়কে ফটিকছড়ি খালের উপর (আরসিসি বক্স কালভার্ট) সেতুটটি প্রায় ২৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা প্রাক্কলিত অর্থের পরিমাণে নির্মাণ করা হয়।

ওই এলাকার  সচিন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, আমাদের এখানে সবাই শ্রমিক। দিনে এনে দিনে খায়। কাজ কর‍তে না পারলে উপবাস থাকে। এমন কী বর্ষা মৌসুমে খালটি পার হতে গিয়ে এ যাবৎ অনেক প্রাণহানি ঘটে। 

এলাকাবাসীর দাবি, বর্তমান সেতুর পাশে আরো একটি সেতু নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির রাহমান সানিকে অবগত করানো হলে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান তিনি।

এসআর

×