ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সেনাবাহিনীর ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণা

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৯:৩০, ১৩ মার্চ ২০২৩

সেনাবাহিনীর ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণা

প্রতারণা

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে সেনাবাহিনীতে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। প্রতিকার চেয়ে সোমবার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগী পরিবার। ভুক্তভোগী গোপালপুর উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের সয়া গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত ব্যক্তি ধনবাড়ীর মুশুদ্দি ইউনিয়নের সয়া গ্রামের মৃত নূর খাঁর ছেলে আব্দুল জলিল খাঁ (৫০)।

দায়ের করা অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর পক্ষে সাগর মিয়া জানান, ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়নে জলিল খাঁর বাড়ি। এই সুবাদে তাঁর স্বজনদের নাম ভাঙিয়ে সে ৪ লাখ টাকায় কৃষি অধিদপ্তরে অফিস সহকারী পদে চাকরি দিবে বলে অগ্রীম ৭০ হাজার টাকা নেয়। ছোট ভাই রাজুকে ভুয়া অফিসারদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে নিয়োগ পরিক্ষা নেয় জলিল। চাকরি দিতে ব্যর্থ হয়ে ২য় বার সেনাবাহিনীতে পাম্প অপারেটর পদে অফ-লাইনে ৭ দিনের মধ্যে চাকরি দিবে বলে আশ্বাস দেয় এবং ৭ লাখ টাকা দাবি করে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সাড়ে তিন লাখ টাকা তাকে দিয়ে গোপনে ভিডিও ধারণ করে রাখ হয়। রাজুকে নিয়ে ঢাকার একটি বাসায় পরীক্ষা দেওয়ায় জলিল। দু’দিন পরে সেনাবাহিনীর সিভিল সার্ভিস ঢাকা সেনানিবাসের স্মারক নং দিয়ে একটি নিয়োগপত্র দেয়। এটি নিয়ে কর্মস্থলে যোগদান করতে গেলে সেখান থেকে জানানো হয় এটি ভুয়া। 

বিষয়টি জলিলকে জানানো হলে রাজুকে ঢাকায় নিয়ে একটি বাসায় জিম্মি করে রাখে। বাসার মালিকের সহায়তায় সে পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে। জলিলের কর্মকান্ড এলাকাবাসীকে জানালে আমার পুরো পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে প্রতারক জলিল। পরে এলাকাবাসী জানায়, জলিল সবজি বিক্রেতা ও ভুয়া চাকরির প্রতারক চক্রের একজন সদস্য। 

এ বিষয়ে আব্দুল জলিল খাঁ বলেন, তাকে সঠিক নিয়োগপত্র দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই ছেলে যোগদান করেনি। তাঁর পরিবারকে কিছু টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসলাম হোসাইন বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে একজন অফিসারকে দায়িত্ব দিয়ে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএস

×