
আলোচনা সভায় অতিথিবৃন্দ
শিশুদের মৌলিক চাহিদা পুরণের জন্যে খানার স্থায়ী আয়ের উৎসে সহযোগিতা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, ওয়াস, শিশুসুরক্ষা এবং অংশগ্রহণ কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের অবস্থা উন্নতির লক্ষ্যে জামালপুরে বাস্তবায়নাধীন এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) এর তথ্য-উপাত্ত নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূখ্য আলোচক ছিলেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ওয়ার্ল্ড ভিশনের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান দেবাশীষ রঞ্জন সরকার।
মঙ্গলবার রাতে উন্নয়ন সংঘের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ডিটিআরসি তে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো: রফিকুল আলম মোল্লা। সভা সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘের মানব সম্পদ উন্নয়ন পরিচালক সাংবাদিক জাহাঙ্গীর সেলিম। সভায় অন্যান্যের মাঝে আলোচনায় অংশনেন দৈনিক জনকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি আজিজুর রহমান ডল, দৈনিক কালেরকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা মনজু, দৈনিক আলোচিত জামালপুরের নির্বাহী সম্পাদক সাযযাদ আনসারী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার জেলা প্রতিনিধি মুখলেছুর রহমান লিখন, সময় টেলিভিশন ও আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, এসএটিভি ও বাংলাদেশ বেতারের জেলা সংবাদদাতা ফজলে এলাহী মাকাম, ডিবিসি নিউজ ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শুভ্র মেহেদী, মানব কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি কাফি পারভেজ, দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি তানভীর হীরা, উন্নয়ন সংঘের সহকারী পরিচালক কর্মসূচি মুর্শেদইকবাল, ওয়ার্ল্ড ভিশনের যোগাযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক জুলিয়েট মন্ডল প্রমুখ।
ওয়ার্ল্ডভিশনের জামালপুর এপি ব্যবস্থাপক সাগর ডিকস্তা জানান এরিয়া প্রোগ্রামটি জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষিরচর ইউনিয়ন, শরিফপুর ইউনিয়ন এবং জামালপুর পৌরসভার ১, ১০, ১১, ও ১২নং ওয়ার্ডে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ৩৯টি গ্রামে ২৩ হাজার ২৮২ জন উপকার ভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। কর্মসূচির সকল কার্যক্রম সফল ভাবে সম্পন্ন করতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ নিয়ে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কার্যক্রমের মধ্যে জীবিকায়ন, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াস এবং স্পন্সরশীপ অন্যতম। এর মধ্যে আবার খানা জরিপ, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবেশ সম্মত গ্রাম প্রতিষ্ঠা, জিঙ্কধান উৎপাদন, অতি দারিদ্রের উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দলগঠন, সক্ষমতার বিকাশ ঘটানো, প্রসব পূর্ব ও প্রসব পরবর্তী সেবা, শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিপদাপন্ন শিশুর তালিকা তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে হংকং।
এমএস