
জনস্রোত
সাত সকালেই রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দান অভিমুখী মানুষের স্রোত নেমেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দিতে ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে (হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ) জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা।দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আজ রবিবার সকালে একদিনের সফরে রাজশাহী এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিনের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে সকালে সারদা পুলিশ একাডেমি পরিদর্শন ও পুলিশ প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে যোগ দেন তিনি। বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এই জনসভায় যোগ দিতে ভোর থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন পর্যায় থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন। এ সময় মিছিলগুলোর স্লোগানে প্রাধান্য পায় আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও নির্বাচনী বার্তা। মাদ্রাসা মাঠমুখী এই জনস্রোত থেকে স্লোগানে-স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে রাজশাহী নগরী।
সকাল ৯টার পর সর্বসাধারণের জন্য জনসভাস্থল খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে সকাল থেকেই রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল-স্লোগান নিয়ে মাদরাসা মাঠে প্রবেশের মূল ফটকে জড়ো হন হাজার হাজার নেতাকর্মী। হাজার হাজার নেতাকর্মীর জনসভাস্থলে প্রবেশ নিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।নিজ নিজ এলাকার নেতার অনুসারীরা নিজেদের পরিচয় জানান দিতে পরিধান করেছেন নানা রঙের টি-শার্ট, গেঞ্জি, টুপি। এ সময় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে রাজশাহী নগরীর রাজপথ। স্লোগান, ঢাকঢোলে পুরো জনসভাস্থল এবং আশেপাশের এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী আগমন উপলক্ষে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে ভোর থেকেই নেতা কর্মীরা মাঠে আসতে শুরু করেছেন। বিভাগের আট জেলা থেকে এ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী এতে যোগ দেবেন।
টিএস