ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাওয়ায় ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ২৬ নভেম্বর ২০২২

মাওয়ায় ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে

মাওয়ায় ইলিশ কিনতে উপচেপড়া ভিড়

মুন্সীগঞ্জে পদ্মা পাড়ের মাওয়া মৎস্য আড়তে ছুটির দিনে রুপালি ইলিশের জমজমাট বেচাকেনা। আর ইলিশের স্বাদ নিতে দূরদূরান্ত থেকে আসছেন ক্রেতা। তাই রুপালি ইলিশের পসরা ঘিরে উপচেপড়া ভিড়। শীতল ভোরে জেলেরা ইলিশ নিয়ে মুন্সীগঞ্জের পদ্মা তীরের মাওয়া মৎস্য আড়তে আসেন। অর্ধ শতাব্দী প্রাচীন এই হাটে পাইকারি ডাকে বেচাকেনা জমজমাট।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীসহ নানা এলাকার মানুষ এখানে আসেন ইলিশের স্বাদ নিতে। সরবরাহ ভালো থাকায় দামও অনেকটা নাগালের মধ্যে। বড় ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে কেজিতে ১২শ’ টাকা।
অভিযোগ রয়েছে, উপকূলের ইলিশ পদ্মার বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মাওয়া মৎস্য আড়তের সভাপতি ছানা রঞ্জন দাস বলেন, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে কারেন্ট জাল বন্ধ এবং প্রবেশপথটি প্রশস্ত করাসহ আড়তটির আধুনিকায়নের দাবি। এই হাটে ২৯টি আড়ত রয়েছে। এ ছাড়াও হাটের খোলা মাঠে পসরা নিয়ে বসে আরও প্রায় ২শ’ বিক্রেতা। দেশসেরা এই ভোরের হাটে ৩ হাজার মানুষের রুটিরুজি। ফজরের আজানের পরপরই তাদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে এই পদ্মা তীর।

শত শত জেলে নৌকা নোঙর করে হাটের পাশে। এরপর মাছ নিয়ে হাটে পসরা দেওয়ার প্রতিযোগিতা লেগে যায়। জেলে নৌকাগুলোতে মাছের খাড়ির পাশাপাশি পেটির ভেতরে বরফেও মাছ রাখা হয়। রাতে ধরা মাছগুলো যাতে নরম হয়ে না যায়, সেজন্যই ব্যবহার করা হয় বরফ। ভোরবেলায় নদী তীরটিতে যেন এলাহি কা-। এই ইলিশের হাটকে কেন্দ্র করে আরও নানা রকম বাজারও বসে যায় আশপাশে। পেটি, বরফ ছাড়াও নানা রকম দোকান।

আর ইলিশের হাটের বাইরেই নদী থেকে প্রবেশমুখের আশপাশে বসে চরের নানা রকম সবজি আর ফলফলাদির পসরা। হেমন্তের ভোরের শিশিরে ভরে যায় মাঠঘাট। এর মধ্যেই হাজারো মানুষের ব্যস্ততা। জেলেদের নাস্তার জন্য ভাসমান রুটি পরোটার দোকান, ডাবসহ নানা কিছু। মাছের হাটের বেচা-কেনা শেষ হতেই সকাল ৮টার মধ্যেই এসব দেকানও বন্ধ হয়ে যায়। ভোরের বেচা-কেনা শেষ। নানা অঞ্চল থেকে আসা মানুষ মাছ কেনা ছাড়াও পদ্মা সেতু পাদদেশের ভোরের এই কর্মযজ্ঞ দেখেন ও ছবি তুলে নিয়ে যান।

আড়তদাররা জানান, প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘণ্টায় এই হাটে বিক্রি হয় প্রায় কোটি টাকার মাছ। জেলা মৎস্য অফিসার শামশুল করিম জানান, গেল এক বছরে জেলায় ২ হাজার ৭২ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। এর বড় একটি অংশ বিক্রি হয় এই হাটে। মাওয়ায় ইলিশের পাইকারি দর কেজিপ্রতি বড় ইলিশ ১২ শ’ থেকে ১৩শ’  টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ হাজার থেকে ১১শ’  টাকা, ৮শ’ থেকে ৯শ’ গ্রামের ইলিশ ৭শ’ থেকে ৯শ’ টাকা।

×