ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁশের সাঁকোই ভরসা, ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে নারী-পুরুষরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর 

প্রকাশিত: ১২:১০, ২৬ নভেম্বর ২০২২

বাঁশের সাঁকোই ভরসা, ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে নারী-পুরুষরা

বাঁশের সাঁকো। ছবি: জনকণ্ঠ

মাদারীপুরে গ্রামীণ জনপদের বিভিন্ন খাল পারাপারের জন্য রয়েছে শত শত সাঁকো। যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত পারাপার হচ্ছে হাজারো নারী-পুরুষ ও শিশুরা। শীতের শিশির আর বৃষ্টির পানিতে সাঁকোর বাঁশ ভিজে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় সাঁকো পারাপারে ঘটছে দুর্ঘটনা। 

বিভিন্ন খালের ওপর এ সব বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের দাবি করেছেন এলাকাবাসী। 

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের হুগলী, ত্রিভাগদী ও রাজধরদী গ্রামের একটি খালে জনগণের পারাপারের জন্য রয়েছে ২৫টিরও বেশি বাঁশের সাঁকো। এ ইউনিয়নের অন্যান্য খালে রয়েছে আরো অর্ধশতাধিক সাঁকো। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পার হয়ে নিয়মিত যাতায়াত করতে হচ্ছে হাট, বাজার, মসজিদ-মাদ্রাসা, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সাঁকো পারাপারে ঝুঁকি থাকায় স্কুলগামী শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী মায়েদের পারাপার নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। 

শুধু কুনিয়া ইউনিয়নেই নয়- এরকম ঝুকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো রয়েছে জেলার পাঁচ উপজেলার অসংখ্য খালে। ফসল নিয়েও বাঁশের সাকো পারাপারে কৃষকদেরকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সাকো পারাপার হতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন। আবার অনেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
 
হুগলী গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব হোসেন বলেন, শীতের শিশির আর বৃষ্টির পানিতে সাঁকোর বাঁশ ভিজে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় এ সকল সাঁকো পারাপারে ঘটে দুর্ঘটনা। ঠিক মতো নামাজ পরতে যেতে পারি না। বারবার ইউনিয়ন পরিষদকে বললেও কোন কাজ হচ্ছে না।

কুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অমিত হোসেন কবির বলেন, মাদারীপুর-২ আসনের সাংসদ শাজাহান খানের কাছে সেতু-কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানিয়েছি।’

এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, জেলার বিভিন্ন জায়গায় যে সাঁকোগুলো রয়েছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সাঁকোগুলো রিপ্লেস করে যেখানে যেটা প্রয়োজন ব্রীজ-কালভার্ট করা হবে। 

এসআর

×