শায়েস্তাখান সড়কের দু’পাশ দখল করে দোকান বসিয়েছেন হকাররা
নারায়ণগঞ্জ শহরের ব্যস্ততম শায়েস্তা খান সড়কটির উভয় পাশেই দুই শতাধিক অবৈধ দোকানপাট গড়ে উঠেছে। এতে এ সড়কটিতে প্রতিনিয়তই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। শহরবাসীকে চলাচলের সময় চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। বাদ পড়ছে না স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও। বৃহস্পতিবার দুপুরেও সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মূল সড়ক তো বটেই ফুটপাথগুলো দিয়ে হাঁটার কোন সুযোগ নেই। জরুরী ভিত্তিতে ব্যস্ততম শায়েস্তা খান সড়কটি থেকে সকল ধরনের অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদের দাবি জানান নগরবাসী।
জানা যায়, শায়েস্তা খান সড়কের পাশেই এক সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ছিল। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়টি ফতুল্লার চানমারী এলাকায় স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে এ সড়কের উভয় পাশে রয়েছে সরকারী-বেসরকারী অফিস। বিশেষ করে এ সড়কের পাশে সদ্য উদ্বোধন হওয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা গণগ্রন্থাগার, র্যাব-১১ এর সিপিসি-১ এর কার্যালয় ও জেলার প্রধান ডাকঘরসহ গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোর অবস্থান রয়েছে।
প্রতিদিন এ সড়কটি দিয়ে নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল ও নারায়ণগঞ্জ বিশ^বিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীরাও আসা-যাওয়া করে। এ ছাড়াও এ সড়কের পাশে রূপালী ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংকের শাখাও রয়েছে। সব মিলেই এ সড়কটি খুবই ব্যস্ততম সড়কে পরিণত হয়েছে। অথচ, এ সড়কের পুরো অংশেই উভয় পাশে গড়ে উঠেছে কমপক্ষে দুই শতাধিক অবৈধ দোকানপাট। অভিযোগ উঠেছে, ফুটপাথে এসব দোকান বসিয়ে দোকানিদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা আদায় করছে একটি প্রভাবশালী চক্র।
সেই চক্রের দাপটেই প্রশাসন ফুটপাথ দখলে থাকা অবৈধ দোকানদারদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না প্রশাসন। নগরীর আমলাপাড়ার বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, প্রতিদিন বেশ কয়েকবার এ সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে হয়। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর এ সড়কটিতে বেচাকেনার ধুম পড়ে যায়। এ সড়কে অবৈধ দোকানপাট বসার কারণে নির্বিঘেœ চলাচল করা দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার ও বুধবার সন্ধ্যায় গিয়েও এ সড়কে তীব্র যানজট দেখতে পাওয়া যায়। বিকেল থেকে পুরুষ ক্রেতাদের সঙ্গে সঙ্গে নারী ক্রেতাদেরও ভিড় জমে ।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মডেল সদর থানার ওসি আনিচুর রহমান মোল্লা জনকণ্ঠকে বলেন, নির্দেশ পেলে শায়েস্তা খান সড়কের অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হবে। পুলিশের নাম করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কোন জায়গা থেকে সদর থানার নামে কোন চাঁদাবাজি হয় না। সুনির্দিষ্টভাবে কেউ বলতে পারলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।