
মোস্তফা কামাল সরকার, নরসিংদী ॥ স্বাস্থ্যসম্মত, দৃষ্টিনন্দন, তথ্য ও প্রযুক্তি সমৃদ্ধ আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ কে এম ফখরুল আলম আরমান উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নে প্রাকৃতিক, নয়নাভিরাম, সুন্দর ও ধূমপান মুক্ত পরিবেশে পরিচালিত হচ্ছে।
বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সকলের সুপরিচিত প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্ব ও তত্ত্বাবধানে দক্ষ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা ছাত্র/ছাত্রীদের যতœসহকারে পাঠদান ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বিদ্যালয়টি নিজস্ব জমির ওপর নির্মিত নতুন ভবনে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা সম্বলিত নরসিংদী সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা মিয়ার সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্বাহী কমিটির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
প্রতিদিন সকালে স্কুল প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীগণ এসেম্বলিতে মিলিত হয়। শরীরচর্চা, শপথগ্রহণ ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে এসেম্বলি শেষ হয় এবং ক্লাস শুরু হয়। প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য ইউনিফর্ম পরা বাধ্যতামূলক।
অভিভাবকরা জানায়, শিক্ষকের পাঠদান, শিক্ষার্থীদের মনোযোগ পরিশ্রমের পাশাপাশি অভিভাবকের তত্ত্বাবধান, শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠনে ও ভাল ফলাফলের জন্য জরুরী। এ বিষয়টি লক্ষ্য রেখে তিন মাস পর পর অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করা হয় । অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যা সমাধান করা হয়।
যেসব সুবিধা পেয়ে অভিভাবকদের প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ॥ শিক্ষকদের পাঠদান ও শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনে সহায়তার জন্য বিজ্ঞান, সাহিত্য, ইতিহাস, তথ্য ও প্রযুক্তি,মুক্তিযুদ্ধসহ নানা ধরনের বইয়ে সমৃদ্ধ একটি আধুনিক পাঠাগার গড়ে তোলা হয়েছে।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী সভার আয়োজন করা হয়। এতে শিক্ষার্থীগণ খেলাধুলায় অংশ গ্রহণ ছাড়াও সুশৃঙ্খল প্যারেডের মাধ্যমে মনোমুগ্ধকর সমবেত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করে, সর্বশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। এ ছাড়া শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, জাতীয় শোক দিবস ও অন্যান্য জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে উদ্যাপন করা হয়। বিদ্যালয়ের নিজস্ব সুবিশাল খেলার মাঠ আছে।
তথ্যপ্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য একটি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতিসহ স্বতন্ত্র বিজ্ঞানাগার আছে। ১ম শ্রেণী হতে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পরিবহনের ব্যবস্থা আছে। বছরের শুরুতে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বই (বিনামূল্যে) ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণ করা হয়। সকল ক্লাসে নতুন ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বিদ্যালয় থেকে বিনামূল্যে ইউনিফর্ম বিতরণ করা হয়। এতে লেখা-পড়ার সুযোগ পেয়ে উপকৃত হচ্ছে শিশুরা। বিদ্যালয়টিতে প্রথম অবস্থায় ৬০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০১৯ সালে বিদ্যালয়টি আদিয়াবাদ গ্রামে গড়ে ওঠে।
অল্প খরচে শিক্ষাদান করানো হচ্ছে শিশুদের। ছেলে-মেয়েদের শিক্ষাদানে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিমাসে অভিভাবক সমাবেশ করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাজী আবদুল মালেক জানান, লেখাপড়া থেকে ঝরেপড়া রোধ করতে এ বিদ্যালয়টি গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়। একটি সুশিক্ষিত জাতি গঠনে সরকারের পাশাপাশি সামাজিকভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।