স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও সৈকত সংলগ্ন কলাতলী বে ওয়ান ডাচ হোটেল থেকে দুই তরুণসহ তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কেন, কীভাবে এই দুই তরুণসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে? তাৎক্ষণিক তা জানাতে পারেনি পুলিশ। একদিনে এই তিন জনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় পর্যটকসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ও বিভিন্ন জল্পনা কল্পণা চলছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সি-গাল পয়েন্ট থেকে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করে লাইফগার্ড কর্মীরা। এর ২/৩ ঘণ্টা পর একই স্থানে ভেসে আসে আরও এক তরুণের মরদেহ। উদ্ধার কর্মীরা ওই তরুণকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিন ঘণ্টার মধ্যে দুই তরুণের মৃত্যু নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে।
সৈকতের উদ্ধারকর্মী মাহবুব আলম বলেন, শুক্রবার দুই দফায় সৈকতের সি-গাল পয়েন্ট থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সাগরের পানিতে ভেসে এসেছে এই দুইজনের মরদেহ। বিকেলে আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার নাক ও মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল। উদ্ধারকর্মীরা তাকে দ্রুত কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান জানান, শুক্রবার দুপুরে সৈকতে যে তরুণের মরদেহ ভেসে এসেছে, তার পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মো: ইমন (১৮)। তিনি কক্সবাজার শহরের কলাতলী চন্দ্রিমা মাঠ এলাকার আবুল কালামের পুত্র।
এদিকে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে এসে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন রাফসান ইরফান। শুক্রবার কলাতলী সৈকত পয়েন্টের বে ওয়ান্ডার হোটেল হতে সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন হোটেল বে ওয়ান্ডার কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বলেন, রাফসান ইরফান তার আরেক বন্ধুকে নিয়ে বে ওয়ান্ডারে উঠেন ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের অতিরিক্ত বুকের ব্যথা ও বমি হয়। শুক্রবার ভোরে বুকে ব্যথা বেশি অনুভব করলে তাদের দুইজনকে কক্সবাজারের বেসরকারি একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। শারীরিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় সেখান থেকে তাদের পাঠিয়ে দেয়া হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। হাসপাতালে নেয়ার পথেই মৃত্যু হয় রাফসান ইরফানের।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: