ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

নিবেদিতপ্রাণ ক্রীড়া সংগঠকের ৪৫ বছর

জাহিদুল আলম জয়

প্রকাশিত: ০১:১১, ২৩ জুলাই ২০২৫

নিবেদিতপ্রাণ ক্রীড়া সংগঠকের ৪৫ বছর

মোহামেডান তথা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের নিবেদিতপ্রাণ সংগঠক টি ইসলাম তারিক

বাংলাদেশের খেলাপাগল মানুষের হৃদয়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব সদাজাগ্রত। একটা সময় মোহামেডান ও আবাহনীর খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে দর্শকের ঢল নামতো। সেই আশি-নব্বইয়ের দশকে গ্যালারিতে তিল ধারণের জায়গা থাকত না। গোটা দেশ খেলা দেখতে কিংবা ধারাবিবরণী শুনতে মুখিয়ে থাকত। দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যেত। 
আশির দশকের সেই সময় থেকে মোহামেডানকে মনেপ্রাণে সমর্থন ও ভালোবেসে চলেছেন নিবেদিতপ্রাণ একজন ক্রীড়া সংগঠক। নাম তার টি ইসলাম তারিক। মোহামেডানকে ভালোবেসে বিগত চার দশকের বেশি সময় ধরে ঐতিহ্যবাহী দলটির পাশে থেকেছেন তিনি। দলের চরম দুঃসময়েও ছেড়ে যাননি। বরং বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সেই টি ইসলাম তারিককে সম্প্রতি সংবর্ধনা ও সম্মাননা দিয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী মোহামেডান সমর্থকগোষ্ঠী ‘মহাপাগল’। 
মহাপাগলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি টি ইসলাম তারিকের দীর্ঘ ৪৫ বছরের বর্ণাঢ্য সাংগঠনিক ক্যারিয়ার। এ উপলক্ষে তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে বর্তমান মহাপাগলের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত তরুণ প্রজন্ম। পাশাপাশি ‘আমাদের মোহামেডান’ এর সদস্যসহ কর্ণধার সাহাদাত হোসেন ও ‘মোহামেডান আলট্রাস’ এর সদস্য সহসভাপতি আমিনুল ব্যাপারী শিপলু সম্মাননা প্রদান করেন। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব থেকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন সাবেক তারকা খেলোয়াড় কায়সার হামিদ, রিয়াজুর রহমান, স্বপন দাস, আরমান মিয়া ও মোস্তাকিম ওয়াজেদ ও মোহামেডান ক্লাবের সহকারী ম্যানেজার অমিত। সাবেক খেলোয়াড় প্রয়াত আহসানউল্লাহ মন্টুর সহধর্মিণী ন্যান্সি আহসানউল্লাহ ও তার মেয়ে সম্মাননা প্রদান করেন। এছাড়া টি ইসলাম তারিকের কর্মস্থল রাজউক থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন জোন চার এর সহকারী পরিচালক অর্পণ দে। টি ইসলামের নিজ এলাকা রামপুরা উলনের বাসিন্দারাও তাঁকে ভালোবাসায় সিক্ত করেন। জাহাঙ্গীর আলম, আকরাম এইচ শাহিন, শাহিন জামান, মনির পাটওয়ারি, বোরহান খন্দকার, শামীম জহির, তানজিল ইসলাম শিশির, লোটাস ইসলাম প্রমুখ ভালোবাসায় সিক্ত করেন তাদের প্রিয় ব্যক্তিত্বকে। 
বর্তমান প্রজন্মের মেধার প্রতি সম্মান রেখেই তাদের ওপর সংগঠনের দায়িত্বভার অর্পন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীর আলম আবেগমাখা কণ্ঠে বলেন, ‘টি ইসলাম তারিক একজন শুধু সংগঠকই না; তিনি মানুষ গড়ার কারিগর, ভালো কাজে নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি।’ কায়সার হামিদ বলেন,‘ টি ইসলাম তারিক মোহামেডানের প্রাণ, মোহামেডানকে নিয়ে তার চিন্তাভাবনাকে শ্রদ্ধা করার মতো। সংগঠক হলে এমনই হওয়া উচিত।’ সম্মাননা পেয়ে আবেগল্পুত হয়ে পড়েন টি ইসলাম। তিনি বলেন, দীর্ঘ সাংগঠনিক পথচলায় কত স্মৃতি, কত সংগ্রাম, কত ভালোবাসা জড়ানো আছে তা বলে শেষ করা যায় না। তবে ১৯ জুলাই যা পেয়েছে তা নিঃসন্দেহে আমার জীবনের এক অনন্য প্রাপ্তি। মহাপাগলের তরুণ তুর্কিরা যে হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা ও সংবর্ধনা দিয়েছে তাতে আমি আবেগোপ্লুত, কৃতজ্ঞতায় নত। এই ভালোবাসা শুধু সম্মান নয়, এটি আমার আগামী পথচলার প্রেরণা। টি ইসলাম আরও বলেন, তোমাদের চোখের উজ্জ্বলতা, কণ্ঠের দৃঢ়তা এবং বুকে আগলে রাখা ভালোবাসা। এই সবই বলে দেয়, আমরা হারি না, হারিয়ে যাই না, আমরা এগিয়ে যাই, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। এই ভালোবাসাই আমার অর্জন; এই ভালোবাসাই আমার অহংকার। তরুণ তুর্কিদের প্রতি আমার অন্তরের গভীর থেকে ভালোবাসা। প্রাপ্ত সব ভালোবাসার কথার মালা; উপঢৌকন আমার ঘরকে পরিণত করেছে ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে!

প্যানেল মজি

×