
ছবি: সংগৃহীত
২০২৫ সালে এসে অবশেষে কল্পনা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড এখন বাংলাদেশের দখলে। বছরের প্রথম সাত মাসে ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশি ব্যাটাররা মেরেছেন ৮৮টি ছক্কা, যা এই ফরম্যাটে পাওয়ার হিটিং-এ টাইগারদের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।
১৯ বছরের অপবাদ—"বাংলাদেশের ছক্কা মারার সামর্থ্য নেই"—এ বছর এসে ঘুচানোর চেষ্টায় ব্যাট হাতে নেমেছে টাইগাররা।
ছক্কার তালিকায় শীর্ষে টাইগাররা
২০২৫ সালে টেস্ট খেলুড়ে ১২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের ৮৮টি ছক্কা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। মাত্র ৮টি ম্যাচ খেলা নিউজিল্যান্ড মেরেছে ৭১টি ছক্কা, আর তৃতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান ৯ ম্যাচে হাঁকিয়েছে ৬৭টি। প্রথম পাঁচে থাকা অন্য দুটি দেশ হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারত।
শুধু ছক্কাই নয়, চারের দিক দিয়েও এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এ বছর চারের হিসেবে টাইগাররা আছে দ্বিতীয় স্থানে।
ছক্কার ঝড়ের পেছনে কারা?
এই অসাধারণ অর্জনের পেছনে অবদান আছে ওপেনার থেকে শুরু করে লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের। দলের একজন সদস্য বলেন—
“টি-টোয়েন্টি খেলতে হলে এখন এই এবিলিটিটা (ছক্কা মারার ক্ষমতা) থাকতেই হবে। আর আল্লাহর রহমতে আমাদের টিমের সবারই এই এবিলিটিটা আছে। একদম লাস্ট যে ব্যাটসম্যানটা আছে, তারও আছে ছয় মারার ক্ষমতা।”
এ বছর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ছয় মেরেছেন তানজিদ হাসান তামিম—২১টি। তার ওপেনিং পার্টনার পারভেজ হোসেন ইমন মেরেছেন ১৯টি। লিটন দাস ও জাকের আলীও ছক্কার দিক থেকে আছেন দুই অঙ্কে। এই চার ব্যাটার মিলে হাঁকিয়েছেন ৬৩টি ছক্কা।
কিছু ব্যক্তিগত রেকর্ডও চোখে পড়ার মতো
ক্যারিয়ারে মোট ম্যাচের চেয়ে ছক্কার সংখ্যা বেশি এমন ব্যাটার এখন টাইগার দলে তিনজন—তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমন ও জাকের আলী।
২০২৫ সালের ১০ ম্যাচের মধ্যে ৯ ম্যাচেই অন্তত ১০টি করে ছয় মেরেছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
ছক্কা বাড়লেও জয় বাড়েনি
এই ছক্কা বৃষ্টির মধ্যে ব্যতিক্রম এক তথ্য হলো—বড় শট বাড়লেও দলের সাফল্য খুব একটা বাড়েনি। এ বছর মাত্র ৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ।
যদিও সাফল্যের গ্রাফ ছক্কার তুলনায় অনেক নিচে, তবে পাওয়ার হিটিংয়ের এই নতুন ধারা নিশ্চয়ই টাইগারদের ভবিষ্যৎ টি-টোয়েন্টি অভিযানে আত্মবিশ্বাস দেবে। এখন প্রয়োজন এই ছক্কা ঝড়কে রূপান্তরিত করা জয়ে। কারণ শেষ কথা কিন্তু জয়েই—না হলে ছক্কার পরিসংখ্যানও একসময় ব্যর্থতার গল্প হয়ে ওঠে।
শেখ ফরিদ