ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৫৮, ১৬ মে ২০২৫

নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

.

অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের শুরুটা খুব একটা ভাল ছিল না। দুর্বল মালদ্বীপের বিপক্ষে এগিয়ে গিয়েও ড্র  করেছিল ২-২এ। অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল বলেছিলেন, এমন ভুল আর করতে চান না। ভুটানকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে গ্রুপসেরা বাংলাদেশ এবার সেমিফাইনালে শক্তিশালী নেপালের বিপক্ষে ২-১ গোলের দারুণ জয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে জায়গা করে নিল। শুক্রবার ভারতের অরুণাচলের গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক হেডে দলকে এগিয়ে দেন আশিকুর রহমান। এরপর ৮১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অধিনায়ক ফয়সাল। শেষদিকে ৮৭তম মিনিটে সুজন দাঙ্গোলের গোলে ব্যবধান কমায় নেপাল। গতবার অনূর্ধ্ব-২০ বছর বয়সীদের নিয়ে হওয়া আসরে এই নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। যুবাদের সামনে এবার শিরোপা ধরে রাখার মিশন।
 হাইভোল্টেজ সেমিতে ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল উত্তেজনা, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। তবে সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল নেপাল। ১৭তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে আসা আক্রমণ রুখে বাংলাদেশের ত্রাতা গোলকিপার ইসমাইল হোসেন মাহিন। ২২তম মিনিটে নেপালের সাবিন কুমারের শট প্রতিহত হয় রক্ষণে। পরের মিনিটে প্রথম ভালো আক্রমণ শাণায় বাংলাদেশ। ফয়সালের থ্রু পাস ধরে রিফাতের বাম পায়ের শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান নেপাল গোলকিপার। ৩০তম মিনিটে নেপালের একটি প্রচেষ্টা পোস্টে বাধা পেলে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। এর চার মিনিট পর বক্সের ওপর থেকে মুর্শেদের ফ্রি কিক বেরিয়ে যায় পোস্টের অল্প বাইরে দিয়ে। ৩৬তম মিনিটে ডানদিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা ফয়সালের কাছের পোস্টে নেওয়া শট ফিস্ট করে ফেরান নেপাল গোলকিপার ভাক্ত বাহাদুর। ৫৫তম মিনিটে কর্নারের পর বাংলাদেশের একটি আক্রমণ গোললাইন থেকে ফেরান নেপালের ডিফেন্ডার মদন পাউডেল। ৬০তম মিনিটে মাঝমাঠের একটু ওপর থেকে উড়ে আসা শট ফেরালেও গ্লাভসে জমাতে পারেননি মাহিন। তবে বল গ্লাভস গলে বেরিয়ে গেলেও সামনে থাকা সুজান দাঙ্গল নাগাল পাওয়ার আগেই দ্রুত ঝাঁপিয়ে আঙুলের টোকায় দূরে ঠেলে দেন তিনি। এরপরই ৭ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোলের ঝড় ‘ডিফেন্ডিং’ চ্যাম্পিয়নদের।
নেপালের চাপ সামলে ৭৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ফয়সালের মাপা শটের কর্নারে দূরের পোস্টে আশিকুর রহমান দর্শনীয় এক হেডে খুঁজে নেন জাল। ৭ মিনিট পর অধিনায়ক ফয়সাল নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এই গোল লেখা হতে পারত মানিকের নামের পাশেও। ডানদিক দিয়ে আক্রমণে উঠে ভালো জায়গায় থেকেও, আরও নিশ্চিত হতে শট না নিয়ে বিচক্ষণতার সঙ্গে ফয়সালকে বল বাড়ান তিনি। ম্যাচে নেপাল উত্তেজনা ফেরায় ৮৭তম মিনিটে। বক্সের ভেতরে ফাঁকায় থাকা সুজান জোরাল শটে পরাস্ত করেন মাহিনকে। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ফয়সাল পেতে পারতেন নিজের দ্বিতীয় গোল, কিন্তু বক্সে ঢুকে দুই ডিফেন্ডারের কড়া পাহারা ভেদ করতে পারেননি তিনি। গতবার ফাইনালে নেপালকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। একই ভেন্যুতে ফাইনাল রবিবার। যেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত অথবা মালদ্বীপ (যা ইতোমধ্যে নির্ধারিত হয়ে গেছে)।

×