ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ইংল্যান্ডের দারুন জয়

সল্ট যেন উইন্ডিজের যমদূত!

প্রকাশিত: ১৩:০৮, ১০ নভেম্বর ২০২৪

সল্ট যেন উইন্ডিজের যমদূত!

 

প্রত্যাবর্তন রাঙাতে পারেননি জস বাটলার। এক বল খেলে শূন্য রানে ফিরে গেছেন তিনি। তবে অধিনায়কের দলে ফেরার দিনে ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। ফিল সল্টের সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের টি২০ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে সফরকারীরা।

আন্তর্জাতিক টি২০তে সল্টের তৃতীয় সেঞ্চুরি এটি। সবকটিই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ইংল্যান্ডের হয়ে একাধিক সেঞ্চুরি নেই আর কারও। ক্যারিবিয়দের বিপক্ষে আগের দুটি সেঞ্চুরি তিনি হাঁকিয়েছিলেন টানা দুই ম্যাচে, একটি আবার বিশ্বকাপে। যেন উইন্ডিজের যমদূত!   

ব্রিজটাউনে ১৮৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই জয়ের কক্ষপথে ছিল ইংল্যান্ড। প্রথম ছয় ওভারেই সল্ট ও উইল জ্যাকস মিলে তোলে ৭৩ রান। সেখানে জ্যাকসের অবদান মাত্র ১৭। গুদাকেশ মোতির বলে বোল্ড হন তিনি।

চোট থেকে ফিরে বাটলার আউট হন প্রথম বলেই। গুদাকেশের অসাধারণ নৈপুণ্যে ফিরতে হয় তাকে। থার্ড ম্যান সীমানায় দাঁড়িয়ে এক হাত দিয়েই বাটলারের ক্যাচ নেন মোতি। বাটলার শূন্য রানে মাঠে ছাড়েন হাসতে হাসতে।

বাটলারের বিদায়ের পর জ্যাকব বেথেলকে নিয়ে ৬১ বলে ১০৭ রানের অসাধারণ একটি জুটি গড়েন সল্ট। জুটিতেই জয় পায় ইংল্যান্ড। ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা সল্ট সেঞ্চুরি করেন ৫৩ বল খেলে। ৫৪ বলে খেলা তার অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংসে ছিল নয়টি চার ও ছয়টি ছক্কায় সাজানো। 

৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা বেথেল অপরাজিত থাকেন ৩৬ বলে ৫৮ রান করে।

এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেন আন্দ্রে রাসেল, রোমারিও শেফার্ড, গুড়াকেশ এবং নিকোলাস পুরান। এই চার জনই ত্রিশ বা তার ঊর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেন। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১১৭ রানেই হারিয়েছিল ৮ উইকেট।

সেখান থেকে রোমারিও শেফার্ড ও মোতি ৪৯ রানের জুটি গড়েন। শেষ উইকেট জুটিতে আসে ৬ বলে ১৬ রান। ২২ বলে ৩৫ রান করেন শেফার্ড, গুদাকেশ করেন ১৪ বলে ৩৩ রান। এর আগে পুরান করেন ২৯ বলে ৩৮ রান।

ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে ফিরে যাওয়ার আগে রাসেল করেন ১৭ বলে ৩০ রান। চলতি বছরে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও স্কোরবোর্ডে ১০০ বা এর চেয়ে বেশি রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ইংল্যান্ডের হয়ে ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেন পেসার সাকিব মাহমুদ। এটাই তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। লেগস্পিনার আদিল রশিদ নেন ৩ উইকেট।

মিরাজ/ জাফরান

×