সংবাদ সম্মেলনে সাবেক শূটার ও সংগঠকরা। বুধবার ডিআরইউতে
‘আমরা রাজনীতিমুক্ত ক্রীড়াঙ্গন চাই। সেই সঙ্গে খেলোয়াড়রা যেন শঙ্কাহীন পরিবেশে অনুশীলন ও পারফর্ম করতে পারে, সেটি চাই। একইসঙ্গে চাই দুর্নীতিমুক্ত ক্রীড়াঙ্গন।’ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে বাংলাদেশ শূটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের (বিএসএসএফ) বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির দুর্নীতি, অপশাসন ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেছেন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদকজয়ী ও সাবেক শূটাররা। তাদের দাবি চারটি।
ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপুসহ গোটা কমিটির পদত্যাগ, বিতর্কিত শূটারদের নিয়ে চালু ক্যাম্প বন্ধ করা, দেশের শূটিংকে ধ্বংস করায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য-সৎ-বঞ্চিত ব্যক্তিদের ফেডারেশনে ফিরিয়ে আনা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমনওয়েলথ গেমস ও সাফ গেমসে স্বর্ণজয়ী শূটার সাবরিনা সুলতানা, কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী শূটার সাইফুল আলম রিংকি, ঢাকা রাইফেল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিএম হায়দার, ফেডারেশনের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মো. কায়সার, সাবেক সদস্য গাজী সাইফুল তারেক, পটুয়াখালী রাইফেল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, সাবেক শূটার ফরিদুল ইউসুফ মহসিন, আসবাব আলী ফয়েজ, জাকিয়া সুলতানা টুম্পা প্রমুখ।
সাবরিনা বলেন, ‘খেলাধুলার মধ্যে রাজনীতি থাকায় আমাদের দেশে উন্নতি হয়নি। বিশেষ করে শূটিং ফেডারেশনে মহাসচিব নাম দিয়ে অপু নিজ ক্ষমতাবলে সেখানে আসন গেড়ে বসে আছেন। এটা অবৈধ কমিটি। এত দিন ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেনি কেউ। তিনি ১২ বছর ধরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তার স্বেচ্ছাচারিতা একসময়ের সম্ভাবনাময় খেলা শূটিংকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। তিনি ফেডারেশনকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেছে। আমরা তার অপসারণ চাই।’
রিংকি বলেন, ‘আমরা নতুন একটা কমিটি করার জোর দাবি জানাচ্ছি। না হলে এদেশে শূটিং যতটুকু আছে, ততটুকুও থাকবে না।’ জিএম হায়দার বনেন, ‘দেশের এই অস্থির সমযে এই ক্যাম্পের উদ্দেশ্য কি? নামকা ওয়াস্তে ক্যাম্প চলছে। কারণ ওদের কাছে গুলি নেই। টাকা নেই।
শূটারেরা রেঞ্জে খাচ্ছে-ঘুমাচ্ছে। কালক্ষেপণ না করে এই ক্যাম্প বন্ধ করতে হবে। এই সুযোগে টাকা-পয়সার গরমিল যা আছে সেগুলো ঠিক করছে। এভাবে চলতে দেওয়া যাবে না।’ সেেম্মলনে জানানো হয়Ñ মহাসচিব এখন পলাতক। তবে তিনি বিদেশে বসে ভিডিও কলের মাধ্যমে ফেডারেশন চালাচ্ছেন! ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্যাম্প বন্ধ না হলে মানববন্ধন করবেন এই সংগঠকরা। শুধু তাই নয়, নতুন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের কাছেও এই দাবি-দাওয়া তুলে ধরবেন তারা।