ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে  সেমির পথে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা

রুমেল খান

প্রকাশিত: ০১:১৬, ২২ জুন ২০২৪

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে  সেমির পথে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা

.

আইসিসি টি২০ বিশ^কাপে শুক্রবার সুপার এইটে  গ্রুপ-২ এর ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। সেন্ট লুসিয়ার গ্রস আইলেটের ড্যারেন সামি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার ১৬৩ রানের জবাবে ইংল্যান্ড ১৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি। সুপার এইটে দক্ষিণ আফ্রিকার এটি টানা দ্বিতীয় জয়। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে এবং এই জয়ে সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল করে তুলল তারা। পক্ষান্তরে সমান ম্যাচে এটা ইংল্যান্ডের প্রথম হার। ২ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে চার দলের মধ্যে দুইয়ে।  
মুদ্রা নিক্ষেপের ভাগ্য লড়াইয়ে জিতে আগে প্রতিপক্ষ প্রোটিয়া বাহিনীকে উইলোবাজি করতে পাঠায় ইংরেজ বাহিনী। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর নিজেদের রান-একাউন্টে জমা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনার কাম উইকেট কিপার কুইন্টন ডি কক ছিলেন দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৩৮ বলে ৪ বাউন্ডারি ও সমসংখ্যক ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ও ১৭১.০৫ স্ট্রাইক রেটে করেন ৬৫ রান। এ ছাড়া ডেভিড মিলারের ৪৩, রিজা হেনডিক্সের ১৯, ট্রিস্টান স্টাবসের ১২* রান ছিল উল্লেখযোগ্য। ইংলিশ গোলকবাজদের মধ্যে উইকেট শিকার করেন জোফরা আর্চার (৩/৪০), আদিল রশিদ (১/২০) ও মঈন আলী (১/২৫)। 
জবাবে ১৬৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড ১.৫ ওভারেই দলীয় ১৫ রানে তাদের প্রথম উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। আউট হন ওপেনার ফিল সল্ট (১১), যিনি আগের ম্যাচেই ম্যাচসেরা হয়েছিলেন। ৬.৫ ওভারে ওয়ান ডাউনে নামা জনি বেয়ারস্টো-ও (১৬) দলীয় ৪৩ রানে সাজঘরে ফিরলে বিপদ আরও বাড়ে ইংরেজ বাহিনীর। সেটা আরও গাঢ় হয় যখন অধিনায়ক-ওপেনার জস বাটলারও (১৭) প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। ৮.৪ ওভারে তখন দলের রান ৩/৫৪। ১০.২ ওভারে মঈন আলী (৯) দলীয় ৬১ রানে আউট হলে তখন ইংল্যান্ডের হার যেন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

কিন্তু লিয়াম লিভিংস্টোন সতীর্থ হ্যারি ব্রুককে সঙ্গে নিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করার মিশনে নামেন। মাত্র ৪২ বলে ৭৮ রানের দারুণ মূল্যবান পার্টনারশিপ গড়েন তারা। ১৭.২ ওভারে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে লিয়াম-ও (৩৩) আউট হয়ে যান। ব্রুক আরও কিছুক্ষণ চালিয়ে যান। ৩৭ বলে ৫৩ রানের একটি মারকুটে অর্ধশতক ইনিংস খেলে তিনি যখন আউট হন, তখন ১৯.১ ওভারে দলের রান ৬/১৫০। ইংল্যান্ড তখন জয়ের সুবাতাস পাচ্ছিল। শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। কিন্তু প্রোটিয়া বোলার এনরিক নর্টে মাত্র ৬ রানের বেশি দেননি। ফলে স্যাম কুরানের ১০ ও জোফরা আর্চারের ১ রানের অপরাজিত দুটি ইনিংস দলের কোন কাজে আসেনি। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি এই আসরের বর্তমান ও দু’বারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ৭ রানে জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। জয়ের কাছকাছি গিয়েও হেরে আক্ষেপের অনলে দগ্ধ হতে হয় ইংল্যান্ডকে। প্রোটিয়া বোলারাদের মধ্যে উইকেট লাভ করেন কেশভ মহারাজ (২/২৫), কাগিসো রাবাদা (২/৩২), ওটনেইল বার্টম্যান ৯১/২৭) ও এনরিক নর্টে (১/৩৫)। বিজয়ী দলের ডি কক ম্যাচসেরা হন।     
 

×