নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার, অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাস ও কোচ সাইফুল বারী টিটু
এই তো ক’দিন আগেই ঘরের মাঠে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছেন আফঈদা, সাগরিকা, স্বপ্না রানীরা। এবার তাদের ছোট বোনদের পালা। সেটা সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ক্ষেত্রে, যা ১ মার্চ থেকে নেপালের কাঠমান্ডুর ললিতপুরে চিসাল স্টেডিয়ামে শুরু হবে। এতে অংশ নেবে। চার দেশ। স্বাগতিক দল নেপাল ছাড়াও অংশ নেবে ভুটান, ভারত ও বাংলাদেশ।
২ মার্চ নেপাল, ৫ মার্চ ভারত ও ৮ মার্চ ভুটানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ১০ মার্চ টুর্নামেন্টের ফাইনাল। লিগ পদ্ধতির টুর্নামেন্টে সর্র্বাধিক পয়েন্ট পাওয়া দুই দল খেলবে ফাইনালে। এই প্রতিযোগিতায় শিরোপা জেতার ব্যাপারে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ দল। আজ বুধবার সকালে বিমানযোগে নেপাল যাবে বাংলাদেশ দল।
এই উপলক্ষে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সম্মেলন কক্ষে। বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ^াসী কোচ সাইফুল বারী টিটু বলেন, ‘এই দলটা নিয়ে আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল। কেননা আমাদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অনুশীলন করা খেলোয়াড় ছিল মাত্র সাত জন। দলে বিকেএসপির ছয় খেলোয়াড় রয়েছে। বাকিরা সবাই বিভিন্ন একাডেমি বা জেলা থেকে সুযোগ পেয়েছে।
তাদের একসঙ্গে নিয়ে একটি কেমেস্ট্রি তৈরি করার সময় কম পেয়েছি। তবে নেপাল যাওয়ার আগে মেয়েরা নিজেদের মধ্যে কয়েকটি ম্যাচ খেলেছে।’ উদ্বোধনী ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে লড়বে ভারত। ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য পরখ করার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া অনূর্ধ্ব-১৬ অচেনা নেপালকে প্রথম ম্যাচে মোকাবিলার আগে চ্যালেঞ্জও অপেক্ষা করছে লাল-সবুজের মেয়েদের। এ বিষয়ে কোচের ভাষ্য, ‘কারা শক্তিশালী, কারা দুর্বল এটা ম্যাচ দেখেই বোঝা যায়। এখানে ওই চ্যালেঞ্জটা থাকবে।
ভারত ও ভুটানের মধ্যকার ম্যাচ আমরা দেখতে পারব, যা পরের ম্যাচে আমাদের জন্য কাজে দেবে।’ টিটু আরও যোগ করেন, ‘তবে একটা পরিষ্কার বার্তা আমি দলের কাছে দিয়েছি যেÑ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা মাঠে কিভাবে খেলি, তাতে মনোযোগ ধরে রাখা।’
এর মধ্যে বাফুফের একাডেমিতে অনুশীলন করা স্বপ্না আক্তার জিলি, অর্পিতা বিশ্বাস, অনন্যা মারমা, আরিফা আক্তার, থুইনুই মারমা, সুরভী আকন্দ প্রীতি খেলেছেন এএফসি ও সাফের বয়সভিত্তিক কয়েকটি আসরে। এ ছাড়া বিকেএসপির সাথী মুন্ডা, পূজা চাকমা, ফাতেমা আক্তার, মোসাম্মত আলমিনা, মরিযম বিনতে হান্না, মেঘলা রানী রায় খেলেছেন ভারতে অনুষ্ঠিত সুব্রত কাপে। এমনিতেই অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় জুনিয়র দলের দিকে খুব বেশি দৃষ্টি দিতে পারেননি কোচ টিটু।
তারপরও এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই কাঠমান্ডু যাচ্ছে মেয়েরা। কিন্তু অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে সেটা বেশ কঠিন হবে বলে মনে করেন কোচ, ‘যেমন এখানে ৬ ফুটবলার অনেকদিন ধরে অনুশীলন করছে, ওদের ৬ মাসের মতো পেয়েছি। কিন্তু অন্যদের একদমই পাইনি। এখানে এক মাসের মতো সময় পেয়েছি। এটুকু প্রস্তুতি আমাদের জন্য যথেষ্ট নয়।’
তারপরও মেয়েদের ওপরই আস্থা রাখতে চান টিটু, ‘এই দলে অনেক প্রতিভাবান ফুটবলার আছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যারা নিজেদের মেলে ধরবে। বেশকিছু ফুটবলারের খেলা ভালো লেগেছে আমার। সেই হিসেবে টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়া লক্ষ্য হলেও দলীয় রসায়নটা এখনো পাব না। তবে একসঙ্গে মাঠে নেমে ওরা ভালো কিছু করেও ফেলতে পারে। এজন্য আমাদের প্রথম ম্যাচটা জেতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’