ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আম্পায়ারিংয়ের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বাস জেসির

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:০৫, ১ জুন ২০২৩

আম্পায়ারিংয়ের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বাস জেসির

জাকির জেসি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার সেভাবে বড় হয়নি। তবে এখনো ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন ৩২ বছর বয়সী সাথীরা জাকির জেসি। তবে এবার চলমান মেয়েদের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) রূপালী ব্যাংকের হয়ে খেলাটাই শেষ হবে এ মহিলা ক্রিকেটারের। কারণ পরবর্তী পর্যায়ের জন্য দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন তিনি। আম্পায়ারিংয়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছেন বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দলের সাবেক হয়ে যাওয়া ক্রিকেটার সাথীরা জাকির জেসি। অবশেষে এবার একটি মর্যাদাপূর্ণ আসরেই আম্পায়ারিং করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। আগামী ১২-২১ জুন হংকংয়ে উইমেন্স ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের প্রথম আসর অনুষ্ঠিত হবে। মেয়েদের এই আসরে আম্পায়ারিং করবেন জেসি। আর সেই সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বাস জানিয়েছেন তিনি। আগামী ১০ জুন জেসি হংকং যেতে পারেন। 
চলতি বছরের এপ্রিল-মে’তে ভারতের একটি স্থানীয় টুর্নামেন্টে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন জেসি। তবে বহুজাতিক কোনো টুর্নামেন্টে এবারই প্রথম আম্পায়ার হিসেবে কাজ করবেন। এর আগে গত বছর সিলেটে অনুষ্ঠিত নারী এশিয়া কাপে লিঁয়াজো অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ক্রিকেটের নানা কর্মকা-ে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন অনেক দিন ধরেই। এবারই প্রথম মহিলাদেম ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে। হংকংয়ে অনুষ্ঠিতব্য এই আসরে আম্পায়ারিং করবেন জেসি। ৮ দলের এই আসরে খেলবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের ‘এ’ দল। আর মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও হংকংয়ের দল।

টুর্নামেন্টের ‘বি’ গ্রুপে খেলবে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়া। গত বছর মেয়েদের জাতীয় দলের এশিয়া কাপ হয়েছে বাংলাদেশে। স্বাগতি দল সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি। সেই আক্ষেপের সঙ্গে বড় একটি আফসোস ছিল আয়োজক দেশের কোনো আম্পায়ার ছিল না। আগামীতে সেই আক্ষেপ ঘুঁচবে বলে আশাবাদী জেসি। বুধবার তিনি বলেছেন, ‘প্রথমেই আমি ধন্যবাদ দিতে চাই বিসিবিকে। বোর্ড প্রেসিডেন্ট পাপন স্যারকে। আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মিঠু ভাইকেও। তারা অনেক সাহায্য করেছেন।

বিসিবিরও একটা ইচ্ছে ছিল, আইসিসির সব ইভেন্টে নারী আম্পায়াররা আছে। সেখানে আমরা পিছিয়ে ছিলাম। গতবার যখন এশিয়া কাপ বাংলাদেশে হলো বিসিবিও মিস করেছে এবং আমরাও মিস করেছি যে আমাদের কোনো নারী আম্পায়ার নেই। সেখান থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিল আমরা যেন কঠোর পরিশ্রম করি এবং এখানে আসতে পারি।’ 
নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য ছেলেদের প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয়ও তৃতীয় বিভাগ, মেয়েদের বিসিএল আসরে আম্পায়ারিং করে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন জেসি। বিসিবিও কয়েকজন মহিলা আম্পায়ার তৈরির প্রক্রিয়া চালিয়েছে। জেসি বলেছেন, ‘বিসিবি এবং আমাদের যৌথ প্রচেষ্টার ফল এই এশিয়া কাপটায় যাচ্ছি।

×