ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কোয়ালিফায়ার খেলা নিশ্চিত করল সিলেট

মো. মামুন রশীদ

প্রকাশিত: ০০:২৮, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

কোয়ালিফায়ার খেলা নিশ্চিত করল সিলেট

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ রাউন্ড রবিন লিগ পর্বের শেষ দিন- শুক্রবার

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ রাউন্ড রবিন লিগ পর্বের শেষ দিন- শুক্রবার। সেই ম্যাচে নিশ্চিত হবে নবম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি২০ আসরের প্রাথমিক রাউন্ড শেষে কোন দলটি শীর্ষে থাকবে। তবে এর আগে বুধবার দুপুরে নিজেদের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এককভাবে শীর্ষস্থানে সিলেট স্ট্রাইকার্স। আগে ব্যাট করে খুলনা ২০ ওভারে ৮ উইকেটে মাত্র ১১৩ রান করতে সক্ষম হয়।

জবাবে ১৭.৩ ওভারেই ৪ উইকেটে ১১৪ রান তুলে সহজ জয় পায় সিলেট। প্রাথমিক রাউন্ড শেষে শীর্ষে থাকা দুই দল খেলবে সরাসরি প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ। সেই ম্যাচ জিতলেই ফাইনাল খেলার সুযোগ থাকবে। ম্যাচটি খেলা নিশ্চিত হয়েছে সিলেটের। কারণ আর একটি দলের সম্ভাবনা আছে ১৮ পয়েন্ট করার। তখন নেট রানরেটে এগিয়ে থাকা দলই দখল করবে শীর্ষস্থান। 
আগেই বাদ পড়েছে খুলনা। তাদের জন্য ম্যাচটির গুরুত্ব না থাকলেও সিলেটের জন্য কিছুটা গুরুত্ববহ ছিল। কারণ না জিতলে প্লে-অফ পর্বে সরাসরি কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলা নিশ্চিত হবে না। সিলেটের জন্য জয় পাওয়ার রাস্তা সুগম করে দেয় খুলনা টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে। প্রথম থেকেই ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারিয়ে তারা বিপর্যয়ে পড়ে। রান করার ক্ষেত্রেও বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের। ৮ ওভারে মাত্র ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারায় খুলনা। একমাত্র ইয়াসির আলী রাব্বিই দুই অঙ্কে পৌঁছুতে পেরেছেন ১৫ বলে ২ চারে ১২ রান করে।

এছাড়া মুনিম শাহরিয়ার (৩), অ্যান্ডি বালবির্নি (৭), শাই হোপ (৯) দুই অঙ্কে পৌঁছুতে পারেননি। একই অবস্থার শিকার হয়েছেন সাব্বির রহমান (৬) ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন (৬)। তাই ১৫তম ওভারে মাত্র ৭২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা। চারে নামা মাহমুদুল হাসান জয়ই শুধু লড়াই চালিয়ে গেছেন। তিনি সপ্তম উইকেটে ৩৬ রানের জুটি গড়েন নাহিদুল ইসলামের সঙ্গে। ৪১ বলে ৩ চার, ২ ছক্কায় ৪১ রান করে জয় তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবের তৃতীয় শিকার হয়েছেন।

শেষ ওভারে নাহিদুলও ১৭ বলে ৩ চারে ২২ রান করে মোহাম্মদ আমিরের পেসে আউট হয়েছেন। অবশেষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে মাত্র ১১৩ রান করতে পেরেছে খুলনা। তানজিম ৪ ওভারে ২২ রানে ৩টি এবং ইমাদ ওয়াসিম ১০ রানে ও রুবেল হোসেন ২৪ রানে ২টি করে উইকেট নেন। ইনজুরি থেকে ফিরে এদিন টস করলেও বোলিং করেননি মাশরাফি বিন মর্তুজা। 
জবাব দিতে নেমে ১০ রানেই দুই উইকেট খুঁইয়ে বিপদে পড়ে সিলেট। চলতি আসরের দুই শীর্ষ রান সংগ্রাহক তৌহিদ হৃদয় (৫) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (৩) সাজঘরে ফেরেন। কিন্তু এরপর দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে গেছেন জাকির হাসান ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। তবে ১৬তম ওভারে যখন দুজনই বিদায় নেন সিলেট তখন জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। জাকির ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতক করেন।

তিনি ৪৬ বলে ৫ চার, ১ ছয়ে ৫০ রানে সাজঘরে ফেরেন হাসান মুরাদের বাঁহাতি স্পিনে। আর মুশফিক ৩৫ বলে ৪টি চারে ৩৯ করার পর রান আউট হয়েছেন। শেষ ৪ ওভারে তখন জেতার জন্য আর মাত্র ১৪ রান প্রয়োজন সিলেটের। রায়ান বার্ল ৬ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১২ রানে অপরাজিত থেকে সেই জয় এনে দিয়েছেন ২.৩ ওভার বাকি থাকতেই। ১৫ বল আগে ৪ উইকেটে ১১৪ রান তুলে জয় ছিনিয়ে নেয় সিলেট।

এর মাধ্যমে চলতি আসরে খুলনা তাদের ১১তম ম্যাচে নবম পরাজয় দেখল। টানা ৬ ম্যাচ হেরেছে তারা। শুক্রবার চলতি আসরে শেষ ম্যাচ খেলবে তারা ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে।
স্কোর ॥ খুলনা টাইগার্স ইনিংস- ১১৩/৮; ২০ ওভার (জয় ৪১, নাহিদুল ২২, ইয়াসির ১২; তানজিম ৩/২২, ইমাদ ২/১০, রুবেল ২/২৪)।
সিলেট স্ট্রাইকার্স ইনিংস- ১১৪/৮; ১৭.৩ ওভার (জাকির ৫০, মুশফিক ৩৯, বার্ল ১২*; সাইফউদ্দিন ১/১৩, নাহিদুল ১/২৩, মুরাদ ১/২৬)।
ফল ॥ সিলেট স্ট্রাইকার্স ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা ॥ ইমাদ ওয়াসিম (সিলেট স্ট্রাইকার্স)।

×