ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১

মেসিকে ঠেকাতে নিজেদের সর্বস্ব উজাড় করে দেব

প্রকাশিত: ১৫:০৭, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

মেসিকে ঠেকাতে নিজেদের সর্বস্ব উজাড় করে দেব

ক্রোয়েশিয়া বনাম আর্জেন্টিনা

আরেকটি বিশ্বকাপ—ফাইনাল হাতছানি দিচ্ছে লুকা মদরিচদের। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে খুব কাছে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ক্রোয়েশিয়াকে। ফ্রান্সের কাছে ফাইনালে হেরে গিয়েছিলেন তারা। 

আজ সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনাকে হারাতে পারলেই ফাইনালে চলে যাবে ক্রোয়েশিয়া। মদরিচ–ইভানোভিচরা আরেকটি ফাইনালের স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ফাইনালে যেতে চলে কঠিন এক কাজই করতে হবে ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণকে। কঠিন সে কাজ সময়ের অন্যতম সেরা তারকা লিওনেল মেসিকে ঠেকিয়ে রাখা।

কঠিন এ কাজটি নিয়ে সতীর্থদের যেন একটু সতর্কই করে দিলেন মদরিচ। তাঁর কথা—মেসিকে ঠেকানো এত সহজ কাজ নয়। তবে আর্জেন্টিনা অধিনায়ককে ঠেকাতে চেষ্টার কোনো ঘাটতি রাখবেন না ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়েরা।

গতকাল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মদরিচ। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়—মেসিকে থামাতে কী পরিকল্পনা করছে তাঁর দল। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মদরিচের কথা—মেসির বিপক্ষে যত পরিকল্পনা করুন না কেন, তিনি বিস্ময় উপহার দেওয়ার মতো কিছু একটা করেই বসবেন!

মেসি প্রসঙ্গে মদরিচ তাঁর কথা শুরু করেছেন এভাবে, ‘আমি বড় একটি দলের বিপক্ষে আরেকটি সেমিফাইনাল খেলতে চাই। আমি এটাই চাই, আমি একজন খেলোয়াড়ের বিপক্ষে খেলছি না।’ মদরিচ এরপর বলেন, ‘অবশ্য লিও (মেসি) বড় খেলোয়াড়। সে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। তাকে থামাতে গিয়ে আমরা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হব। কিন্তু আমরা তৈরি। তাকে ঠেকানোর জন্য আমরা নিজেদের সর্বস্ব উজাড় করে দেব।। আশা করছি, ফাইনালে যাওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট।’

ইতিহাস–ঐতিহ্য বিবেচনায় এ ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার চেয়ে আর্জেন্টিনাকেই এগিয়ে রাখবে বেশির ভাগ মানুষ। মদরিচও এটা জানেন। আর এটা ক্রোয়েশিয়ার জন্য ভালো বলেই মনে করেন মদরিচ, ‘বড় দেশের থেকে সবাই বেশি কিছু আশা করে। আমরা যেহেতু ছোট দেশ, কেউ আমাদের গোনায় ধরে না। অন্যরা যে ফেবারিট আর আমরা যে আড়ালে আছি, এ নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’

ক্রোয়েশিয়া দল নিয়ে এরপর মদরিচ বলেছেন, ‘কেউ আমাদের নিয়ে কথা বলে না। তবে আমি এ দলটাকে খুব ভালো আর পরিণতই বলব। তরুণ খেলোয়াড়েরা দলে দারুণ কিছু করছে। আমরা অনেক ভালো কিছু ম্যাচ খেলেছি। আমার আত্মবিশ্বাস ছিল, ভালো কিছু করতে পারি। চার বছর পর আবার সেমিতে ওঠাটা খুব বড় ব্যাপার।’

 

টিএস

×