ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইতিহাস বদলাতে না পারার আক্ষেপ জাপানের

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০১:১৬, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

ইতিহাস বদলাতে না পারার আক্ষেপ জাপানের

আক্ষেপ জাপানের

এর আগের তিনবারে হয়নি। শেষ ষোলোর টিকিট কেটেও কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা অতিক্রম করতে পারেনি জাপান। তবে এবার এশিয়ার গর্বের প্রতীক হয়ে কাতার বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করা দেশটির ভক্ত-অনুরাগীদের বিশ্বাস ছিল নকআউট পর্বের বাধা অতিক্রমের। বিশেষ করে গ্রুপ পর্বে চারবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি আর ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরোজয়ী স্পেনকে হারানোর পর তাদের এমন প্রত্যাশাটা আসলেই স্বাভাবিক ছিল।

ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে জিতে নতুন ইতিহাস গড়বেন ব্লু সামুরইরা! কিন্তু বিধি বাম! এবারও শেষ ষোলোতেই থেমে গেল জাপানের জয়যাত্রা। সেইসঙ্গে বিশ্বকাপেও জাপানের সূর্যাস্ত। ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে শেষ ষোলো থেকেই ছিটকে গেল তারা। ৯০ মিনিটে দুই দলের খেলার ফল ছিল ১-১ সমতায়। যে কারণে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

সেখানেও খেলার ফলাফল না হওয়ায় পেনাল্টি শুটআউটে ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়। স্নায়ু ক্ষয়ের এই লড়াইয়ে জাপানকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টরা। সেইসঙ্গে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার স্বপ্নও হাতছাড়া হয়ে যায় জাপানের। ২০০২, ২০১০ এবং ২০১৮ বিশ্বকাপের মতো আবারও শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিল এশিয়ার দলটি।

এর ফলে ইতিহাস বদলাতে না পারার আক্ষেপে পুড়ছে জাপান। শুধু তাই নয়? এমন হারের পর গ্রুপ পর্বে যে বিশ্বকাপের পাওয়ার হাউস খ্যাত জার্মানি এবং ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে হারালো জাপান সেগুলোকেও বৃথা বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির তারকা ফরোয়ার্ড রিতসু দোয়ান। এসব কে সান্ত¦নার কিছুই দেখছেন না তিনি। এমনকি নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত যে ক্রোয়াটদের বিপক্ষে লড়াই সেটাকেও মানুষ মনে রাখবে না বলে মন্তব্য করেন দোয়ান।

এ প্রসঙ্গে জার্মান ক্লাব ফ্রেইবার্গের জার্সিতে খেলা জাপানি ফরোয়ার্ড বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে এগুলো আসলে তেমন কিছুই নয়। এমনকি আজ যে আমরা লড়াই করে হেরেছি তাও কোন বিষয় নয়। কেননা, আমরা তো আর ইতিহাসটাকে বদলাতে পারিনি।’

এবার নিয়ে সাতবার বিশ্বকাপ খেলছে জাপান। যার মধ্যে তিনবারই গ্রুপ পর্বের বাধা অতিক্রম করে ব্লু সামুরাইরা। যে কারণে এবার নিজেদের ফুটবল ইতিহাস নতুন করে লেখার সুযোগ ছিল জাপানের। সে লক্ষ্যে এবার প্রথমবারের মতো আগে গোল করে এগিয়েও গিয়েছিল এশিয়ান জায়ান্টরা। কিন্তু নকআউট ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার অভিজ্ঞতার সামনেই যেন টিকতে পারেনি জাপান। আল জানুব স্টেডিয়ামে এদিন ১২০ মিনিট মরিয়া হয়ে লড়াই করেছে জাপান।

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দিনটা তাদের ছিল না। পেনাল্টি শুটআউটে তিনটি শটই নষ্ট করে ব্লু সামুরাইরা। সেখানে ক্রোয়েশিয়ার লেভায়ার শট পোস্টে লাগে। পেনাল্টি শুটআউটে জাপানের প্রথম চার শটের তিনটি মিস করেন তাকুমি মিনামিনো, কাওরো মিতোমা এবং মায়া ইয়োশিদা। তাদের কারও শটেই জোর ছিল না তেমন। সবই ঠেকিয়ে দেন লিভাকোভিচ। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার প্রথম তিন শটের দুটি খুঁজে পায় ঠিকানা, একটি লাগে পোস্টে।

আর চতুর্থ শটে মারিও পাসালিচ বল জালে পাঠাতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে ক্রোয়াটরা। অনেকের মতো দোয়ানও মনে করেন, পেনাল্টি পুরোটাই ভাগ্যের ব্যাপার। এর সঙ্গে ভালো অনুশীলনের সংমিশ্রণ বলে মন্তব্য করেন তিনি, ‘পেনাল্টি হলো ভাগ্য এবং অনুশীলনের সংমিশ্রণ। তাদের গোলরক্ষক ছিলেন অসাধারণ। জাপানের খেলোয়াড়দের আরও ভালো করার উচিত ছিল।

×