
গোলের উচ্ছ্বাস রিয়াল মাদ্রিদের তারকাদের
স্প্যানিশ লা লিগায় কিলিয়ান এমবাপের জোড়া গোলে ভর করে স্বস্তির জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। রবিবার রাতে নিজেদের মাঠ সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে গ্যালাক্টিকোরা ৩-২ গোলে হারিয়েছে সেল্টা ভিগোকে। এই জয়ে ৩৪ ম্যাচে ২৩ জয় ও ছয় ড্রয়ে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বরে আছে রিয়াল। সমান ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বার্সেলোনা।
বার্নাব্যুতে সহজ জয়ের আশা জাগিয়েছিল রিয়াল। কিন্তু দুই গোল শোধ করে ম্যাচ জমিয়ে তোলে সেল্টা। পাঁচ গোলের জমজমাট লড়াইয়ে জিতে শিরোপা লড়াইয়ে ভালোভাবেই টিকে আছে কোচ কার্লো আনচেলোত্তির দল। ম্যাচের প্রায় ৪৬ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১৪টি শট নেয় সেল্টা। এর সাতটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে রিয়ালের ১৭ শটের ছয়টি ছিল লক্ষ্যে।
প্রতিপক্ষের মাঠে পঞ্চম মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় অতিথি সেল্টা। কিন্তু কর্নারে একটুর জন্য হেড ঠিকানায় রাখতে পারেননি মার্কোস অ্যালোন্সো। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে চোখ ধাঁধানো গোলে রিয়ালকে এগিয়ে নেন গিলের। কর্নারের পর লুকাস ভাসকেসের কাছ থেকে ডি বক্সে বল পেয়ে আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন তরুণ মিডফিল্ডার। ৩৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে রিয়ালের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন কিলিয়ান এমবাপে।
দুটি দারুণ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া রেয়াল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান আরও বাড়ায়। ৪৮ মিনিটে গিলেরের রক্ষণ চেরা পাস পেয়ে বাঁ পায়ের আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন এমবাপে। আসরে এটি ফরাসি তারকার ২৪তম গোল। ফরাসি তারকা ফরোয়ার্ডের চেয়ে বেশি গোল করেছেন কেবল বার্সেলোনার রবার্ট লেভানডোস্কি (২৫)।
রিয়ালের হয়ে অভিষেকে সর্বোচ্চ গোলের কীর্তির আরও কাছে পৌঁছে গেছেন এমবাপে। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে ইউরোপের সফলতম দলটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৫ ম্যাচে ৩৭ গোল করেছিলেন চিলিয়ান তারকা ইভান জামোরানো। ৫২ ম্যাচে এমবাপের গোল হলো ৩৬টি।
ম্যাচের ৬৯ মিনিটে জাভি রদ্রিগেসের গোলে ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলার আভাস দেয় সেল্টা। কর্নার থেকে পাবলো দুরানের ব্যাকহিল গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ভাসকেস । ফিরতি বলে খুব কাছ থেকে গতিময় শটে জাল খুঁজে নেন রদ্রিগেস। ৭৬ মিনিটে উইলট সুইডবার্গের গোলে ব্যবধান আরও কমায় সেল্টার। বদলি নামা ইয়াগো আসপাসের সেটা বলে প্রথম স্পর্শ।
অতিথি অধিনায়কের রক্ষণ চেরা পাসে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান অরক্ষিত সুইডিশ ফরোয়ার্ড। ঠান্ডা মাথার আড়াআড়ি শটে রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকে পরাস্ত করে জাল খুঁজে নেন তিনি। ৭৯ মিনিটে সমতা প্রায় ফিরিয়েই ফেলছিল সেল্টা। আসপাসের আরেকটি দুর্দান্ত পাসে কোর্তোয়াকে একা পেয়ে যান দুরান। তার শট ঠিক মতো ফেরাতে পারেননি রিয়াল গোলরক্ষক। কিন্তু বলের গতি অনেক কমে যাওয়ায় জালে যায়নি। শেষ পর্যন্ত স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল।