
মেহেদি হাসান মিরাজ
মেহেদি হাসান মিরাজ সর্বশেষ বিপিএলে ভালো খেলেও টি২০ দলে সুযোগ পাননি। ফরচুন বরিশালের জার্সিতে ১৩ উইকেট ও ৩৫৫ রান করে টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন। মিরাজকে না রাখার ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেছেন, ‘মিরাজ আমাদের জাতীয় দলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার।
বিশেষ করে টেস্ট ও ওয়ানডেতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একজন ক্রিকেটার যদি চোটে পড়ে যান, তিন সংস্করণের জন্যই তিনি পিছিয়ে পড়েন। এখানে যে পাঁচ বোলার থাকবে, সবাইকে চার ওভার করে বোলিং করতে হবে। সেক্ষেত্রে শেখ মেহেদী কিছুটা এগিয়ে আছেন।’
অন্যদিকে টি২০তে সাম্প্রতিক নাজমুল হোসেন শান্তর ফর্ম হতাশাজনক। তবু আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টি২০ সিরিজে দলের অংশ হয়েছেন তিনি। মূলত অভিজ্ঞতার কারণে টিকে গেছেন। রবিবার বিকালে আসন্ন দুটি টি২০ সিরিজের জন্য বাংলাদেশের ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে। সেই দলে আছেন বাংলাদেশের বর্তমান ওয়ানডে ও টেস্ট অধিনায়ক।
বাংলাদেশের হয়ে ৪৯ টি২০ খেলেছেন শান্ত। ২২.৮৫ গড় ও ১০৮.৩৫ স্ট্রাইক রেটে তার রান ৯৬০। টপ অর্ডার ব্যাটার হিসেবে শান্তর এই পারফরম্যান্স ভীষণ বিব্রতকর। বিপিএলেও নিয়মিত একাদশে সুযোগ পাননি। চ্যাম্পিয়ন হওয়া ফরচুন বরিশালের হয়ে মাত্র ৫ ম্যাচ খেলার পর আর একাদশে সুযোগই পাননি তিনি। যে কয়টায় সুযোগ পেয়েছেন, সেখানেও ব্যর্থ হয়েছেন। ১১.২০ গড় ও ১১৯.১৪ স্ট্রাইক রেটে পেয়েছেন ৫৬ রান।
এর পরও শান্তকে স্কোয়াডে রাখা নিয়ে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেছেন, ‘শান্ত আমাদের সাবেক অধিনায়ক ছিলেন... আপনি দলটার দিকে তাকিয়ে দেখুন, আপনার অভিজ্ঞতাও দরকার। ওপরের দিকে সৌম্য (সরকার) ও লিটন আছে, যারা ৯০ বা এর আশপাশে ম্যাচ খেলেছে। এরপর আপনি যদি তাকান, দেখবেন বিস্তর ফারাক রয়েছে। শান্তরও মনে হয় এখনো ৫০ ম্যাচ হয়নি, ৪০ বা এর আশপাশে ম্যাচ খেলেছে।
তো দলের সঙ্গে আপনার সব সময়ই কিছু অভিজ্ঞতা বহন করা দরকার।’ শান্তকে নিয়ে লিপু আরও বলেছেন, ‘আর (শান্তর) ওই জায়গার জন্য যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে, হয়তো (মাহিদুল ইসলাম) অঙ্কন বা ওপরের দিকে নাঈম (শেখ) বা নিচের দিকেও আরও এক-দুজন আছে। তো স্বয়ংক্রিয়ভাবে তারা প্রক্রিয়ার মধ্যে আসবেন।’