ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ছেলেদের ক্রিকেটে নভেম্বরের সেরা হয়েছেন বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক ট্রাভিস হেড

আইসিসির মাসসেরা হয়ে নাহিদার ইতিহাস

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৪০, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

আইসিসির মাসসেরা হয়ে নাহিদার ইতিহাস

নাহিদা আক্তার

প্রথম বাংলাদেশী নারী ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির মাসসেরা (নভেম্বর) খেলোয়াড় হয়ে ইতিহাস গড়লেন নাহিদা আক্তার। গত মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ওয়ানডে সিরিজ জয়ে বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন ২৩ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার। গৌরবময় এ স্বীকৃতি অর্জনের পথে তিনি সতীর্থ ফারজানা হক পিংকি ও পাকিস্তানের সাদিয়া ইকবালকে পেছনে ফেলেছেন। এর আগে অক্টোবর মাসের সেরা হওয়ার লড়াইয়েও ছিলেন নাহিদা।

সেবার তিনি হেরে যান ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা হেইলি ম্যাথুজের কাছে। সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে নভেম্বর মাসের সেরা পুরুষ ও নারী খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ করে আইসিসি। ছেলেদের ক্রিকেটে সেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন ট্রাভিস হেড। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের নায়ক এ ব্যাটার পেছনে ফেলেছেন স্বদেশী গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ভারতের মোহাম্মদ শামিকে।
প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির মাসসেরার স্বীকৃতি পাওয়ার অনুভূতি জানিয়ে নাহিদা বলেন, ‘এই মুহূর্তটা মনে রাখার মতো। এমন মর্যাদাপূর্ণ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গড়া প্যানেল থেকে পাওয়া স্বীকৃতির তাৎপর্য অনেক। আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা আমার জন্য প্রেরণা ও উৎসাহের বিশাল উৎস হয়ে থাকবে।’ এ জন্য দলীয় নৈপুণ্য ও সতীর্থদের কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। ‘গত কয়েক মাসে আমরা অসাধারণ কিছু ক্রিকেট খেলেছি। দল হিসেবে যে সাফল্য পেয়েছি, তাতে অবদান রাখতে পেরে আমি দারুণ খুশি।

অবশ্যই আমার অধিনায়ক, কোচ, সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাতে হবে সব সময় আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য। এটিই আসলে মানসম্পন্ন দলের বিপক্ষে সহজাত খেলা খেলতে, চাপের মুখে পারফর্ম করার সুযোগ করে দিয়েছে,’ বলেন নাহিদা। চলতি বছরের শুরু থেকেই ধারাবাহিক নাহিদা। অক্টোবরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি২০ সিরিজে বাংলাদেশের রেকর্ড ৮ রানে ৫ উইকেটসহ তিন ম্যাচে ৮ শিকারে ওই মাসের সেরা হওয়ার দৌড়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ছন্দ ধরে রাখেন নভেম্বরের ওয়ানডে সিরিজেও। প্রথম ম্যাচে ৩০ রানে ৩ উইকেটের পর শেষটিতে ২৬ রান খরচায় নেন আরও ৩ উইকেট। মাঝে দ্বিতীয় ম্যাচে তার কাঁধে পড়ে সুপার ওভারের দায়িত্ব। কঠিন সেই পরীক্ষায় মাত্র ৭ রান দিয়ে ২ উইকেট দলকে এনে দেন স্মরণীয় এক জয়। ১৪.১৪ গড়ে ৭ উইকেট নিয়ে হন সিরিজসেরা।
এদিকে নভেম্বরে ভারত বিশ্বকাপের নক-আউট পর্ব রাঙিয়ে প্রথমবার মাসসেরার স্বীকৃতি পেলেন হেড। এই স্বীকৃতি পাওয়া দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়ান তিনি। এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরের সেরা হয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। চোট থেকে সুস্থ হয়ে বিশ্বকাপের মাঝপথে দলের সঙ্গে যোগ  দেন হেড। পরে তিনিই হয়ে ওঠেন অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ের নায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনাল ও ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে ম্যাচ  সেরার পুরস্কার জেতেন বাঁহাতি ওপেনার। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বল হাতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেটের পর ব্যাটিংয়ে ৪৮ বলে ৬২ রান করেন হেড। পরে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ১২০ বলে ১৩৭ রানের ইনিংস।

×