ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিপিএলে টানা ৬ হার চট্টগ্রামের

টানা ৭ জয়ের রেকর্ড গড়ল কুমিল্লা

মো. মামুন রশীদ

প্রকাশিত: ০০:৩৪, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

টানা ৭ জয়ের রেকর্ড গড়ল কুমিল্লা

ম্যাচসেরা মোহাম্মদ রিজওয়ান

নবম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) টানা ৭ জয়ের রেকর্ড গড়েছে ৩ বারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা টানা ৩ হার দেখে এবারের আসরে যাত্রা শুরু করে। সেই দলটিই এবার জয়ের রেকর্ড গড়েছে। শনিবার দুপুরে তারা বিপর্যস্ত চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এই রেকর্ড গড়ে। এর আগে অষ্টম আসরেই টানা ৭ জয়ের রেকর্ড গড়ে ফরচুন বরিশাল। অবশ্য মাঝে তাদের একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।

এর আগে টানা ২০১৯ বিপিএল ৬ জয়ের রেকর্ড ছিল রংপুর রাইডার্সের। শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে আফিফ হোসেন ধ্রুব ও উসমান খানের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রাম নির্ধারিত ২০ ওভারে তোলে ৭ উইকেটে ১৫৬ রান। জবাব দিতে নেমে মোহাম্মদ রিজওয়ানের অর্ধশতকে ১৯ ওভারেই ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করে জয় ছিনিয়ে নেয় কুমিল্লা। ১০ ম্যাচে কুমিল্লার পয়েন্ট ১৪ আর সমার ম্যাচে ৮ হারে চট্টগ্রামের পয়েন্ট মাত্র ৪।
প্রতিযোগিতা থেকে ইতোমধ্যেই ছিটকে যাওয়া নিশ্চিত হয়েছে চট্টগ্রামের। এখন নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলছে দলটি। শনিবার তাই ¯্রােতের বিপরীতে গিয়ে টস জিতেও ব্যাটিংয়ে নেমেছে তারা। এর খেসারত হিসেবে ৬ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে চট্টগ্রাম। তবে তৃতীয় উইকেটে ৬৪ বলে ৮৮ রানের বিশাল জুটি গড়ে দলকে ভালো একটি সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন উসমান ও আফিফ। উভয়েই অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন।

উসমান ৪১ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫২ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন ১৪তম ওভারে অনিয়মিত সৈকত আলীর মিডিয়াম পেসে। কিন্তু কিছুটা দেখেশুনে খেলতে থাকা আফিফ আরও বড় স্কোরের দিকে এগিয়ে গেছেন। চতুর্থ উইকেটে তিনি অধিনায়ক শুভাগত হোমের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়েন। শুভাগত ১০ বলে ১২ করে রানআউট হয়ে যান।

এরপর কার্টিস ক্যাম্ফার ও জিয়াউর রহমান উভয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরলেও সাতে নেমে দারবিশ রসুলী মাত্র ৯ বলে ১ চার, ২ ছক্কায় ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ ওভারে আফিফ ৪৯ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৬ রানে সাজঘরে ফিরলেও চট্টগ্রাম লড়াকু সংগ্রহে পৌঁছে যায়। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৬ রান তোলে চট্টগ্রাম। ২টি করে উইকেট নেন হাসান আলী ও তানভীর ইসলাম। 

জবাব দিতে নেমে প্রথম দিকে অবশ্য স্বস্তিদায়ক গতিতে রান তুলতে পারেনি কুমিল্লা। নবম ওভারের পঞ্চম বলে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে দলীয় ৫৭ রানে সাজঘরে ফিরেছেন জনসন চার্লস (৯)। তার আগে ওপেনার সৈকত ১০ বলে ২ চার, ১ ছয়ে ১৫ ও অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ১টি করে চার-ছক্কায় ১৫ রানে আউট হয়েছেন। তবে ওপেনার রিজওয়ান ক্রিজে থেকে আশা জাগিয়ে রেখেছেন জয়ের। চতুর্থ উইকেটে তিনি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটি গড়েন মাত্র ৪৭ বলে।

এতেই জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। ১৭তম ওভারে রিজওয়ান ৪৭ বলে ৫ চার, ২ ছক্কায় ৬১ রান করে সাজঘরে ফিরলেও মোসাদ্দেক দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। ১ ওভার বাকি থাকতেই কুমিল্লা ৪ উইকেটে ১৫৭ রান তুলে ৬ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে। মোসাদ্দেক ২৭ বলে ৩ চার, ১ ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন। জিয়াউর রহমান ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নিপুণ ২টি করে উইকেট নেন। টানা ৭ ম্যাচ জেতার রেকর্ড গড়ে কুমিল্লা। আর টানা ৬ হারের তিক্ত স্বাদ নিয়েছে চট্টগ্রাম। অবশ্য ইতোমধ্যেই তারা প্লে-অফে ওঠার লড়াই থেকে ছিটকে গেছে। এখন পরাজয়ের লজ্জার রেকর্ড গড়ার পথে দলটি। ১০ ম্যাচে মাত্র দুটি জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম। 
স্কোর ॥ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ইনিংস- ১৫৬/৭; ২০ ওভার (আফিফ ৬৬, উসমান ৫২, রসুলী ২১*; হাসান আলী ২/২৫, তানভীর ২/২৭)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ইনিংস- ১৫৭/৪; ১৯ ওভার (রিজওয়ান ৬১, মোসাদ্দেক ৩৭*; জিয়া ২/২৭, মৃত্যুঞ্জয় ২/৩৫)।
ফল ॥ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা ॥ মোহাম্মদ রিজওয়ান (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)।

×