
তামিম ইকবাল
পরপর দুই ম্যাচে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে জিম্বাবুইয়ে রান তাড়া করার যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল তাতে তারা সফল। প্রথম ওয়ানডেতে ৩০৩ রান তাড়া করে জিতেছে, দ্বিতীয় ওয়ানডতে স্বাগতিকরা জিতেছে ২৯১ রানের টার্গেটে। দুই ম্যাচে বাংলাদেশের ইনিংসে এসেছে একাধিক ফিফটি। কিন্তু নেই কোন সেঞ্চুরি। অথচ দুই ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের সেঞ্চুরি চারটি। সঙ্গে একাধিক ক্যামিও ইনিংস। যা বড় ব্যবধান গড়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার মতে দুই দলের ব্যাটিং পার্থক্য সিরিজে জয়-পরাজয়ের বড় কারণ।
‘পার্থক্য হচ্ছে জিম্বাবুয়ের দুই ম্যাচে চারটি সেঞ্চুরি আছে। বাংলাদেশের একটিও নেই। আমরা সম্মানজনক পুঁজি পেয়েছিলাম। ব্যাটিংয়ে আমাদের অনেকেই ভাল শুরু পেয়েছি, কিন্তু কেউ ইনিংস বড় করতে পারিনি। উইকেট শুরু থেকেই ভাল ছিল। স্পিনারদের বিপক্ষেও ব্যাটিং করা কঠিন ছিল না।’ বলেন তামিম। হারারের উইকেট যে ভাল ছিল তার প্রমাণ বাংলাদেশের শুরুর রানই। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০ ওভারে বিনা উইকেটে বাংলাদেশের রান ছিল ৬২। তামিম ৪৩ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।
নিজেদের মাঠে স্বাগতিকরা ভাল করায় তামিম তাদের প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেননি, ‘জিম্বাবুইয়েকে ক্রেডিট দেয়া উচিত। তারা ভাল দল বলেই সিরিজ জিতেছে। আমাদের নিজেদের পায়ের নিচের মাটি শক্ত করতে হবে। এখানে আমরা এখনও নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারিনি। এ জন্যই এই অবস্থানে।’ ওয়ানডে ফরমেটে শক্তি-সামর্থ্য-র্যাঙ্কিং সকল বিচারেই এই সিরিজে ফেবারিট ছিল বাংলাদেশ। সেখানে এভাবে টানা দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ খোয়ানোটাকে বড় শিক্ষা হিসেবে দেখছেন কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। তিনি বলছেন এই শিক্ষাটা কাজে লাগাতে হবে। আগামী বছর বিশ্বকাপ সামনে রেখে শুধু ব্যাটিং নয়, বোলিং-ফিল্ডিং সব বিভাগেই অনেক উন্নতির প্রয়োজন আছে।