ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

বৈশাখী সাজে ঘর

শিউলী আহমেদ

প্রকাশিত: ০১:৪০, ১৪ এপ্রিল ২০২৩

বৈশাখী সাজে ঘর

‘আইলো পহেলা বৈশাখরে, পহেলা বৈশাখ-’ ঢাকের তালে ছন্দ তুলে বৈশাখ চলেই এলো বাঙালির ঘরে

‘আইলো পহেলা বৈশাখরে, পহেলা বৈশাখ-’ ঢাকের তালে ছন্দ তুলে বৈশাখ চলেই এলো বাঙালির ঘরে। করোনার ভয়াল থাবা আর রোজার কারণে গত তিন বছর সেভাবে বৈশাখ পালিত হয়নি। যদিও এবারও রোজা, তবু কিছুটা বড় করেই পালন হতে যাচ্ছে বর্ষবরণ, ১৪৩০। বৈশাখকে বরণ করতে এখন সবাই শুধু নিজেই সাজে না, সাজিয়ে নেয় নিজ গৃহকোণকেও। অনেকেই বাঙালি মোটিফে ঘরদোড় সাজিয়ে, খাবার-দাবারে আনে বৈশাখী আমেজ। ধর্মপ্রাণ কিন্তু উৎসবমুখর মানুষ দ্বিধায় পড়েছে, কিভাবে করবে এবারের আয়োজন।

সারাদিন রোজা রেখে ঘুরে বেড়ানো, ইফতার, সেহরি। তবে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখেও পালন করতে পারেন বৈশাখ। ঘরে, খাবার টেবিলে, বারান্দায়, ড্রইং বা সিটিং রুমে নিয়ে আসতে পারেন বৈশাখী আমেজ। ইফতার বা রাতের খাবারে আনতে পারেন একটু ভিন্নতা, যাতে বৈশাখও পালন হয়, আবার রোজায় খেয়ে আরামও পাওয়া যায়। পুরো ঘর না হোক, অন্তত ড্রইং বা সিটিং রুম একটুখানি গুছিয়ে নিতে পারেন। মনটা বেশ ফুরফরেও লাগবে। খাবার টেবিলে খাবার পরিবেশনে আনতে পারেন ভিন্নতা।
বারান্দা : বারান্দা তুলনামূলক বড় হলে সেখানে গাছের টবগুলো একটু ভিন্নভাবে সাজিয়ে, মাটির তৈরি কিছু শোপিস রাখতে পারেন। অথবা টবগুলোকে নিজেই রং দিয়ে রাঙিয়ে নিতে পারেন। ছোট করে মেঝেতে আলপনাও করে নিতে পারেন। ভাড়া বাসা হলে আলপনা না করে সুন্দর রঙিন পাপোস বা ম্যাট বিছিয়ে নিতে পারেন। বাজারে আজকাল অনেক রকম আকর্ষণীয় ম্যাট পাওয়া যায়। চাইলে ফ্লোরে মাদুর বা ছোট কার্পেট বিছিয়ে বসার ব্যবস্থাও করতে পারেন।

ড্রইং বা সিটিং রুম : উৎসব অনুষ্ঠানে ড্রইং রুমটাই থাকে বাসার মূল আকর্ষণ। এখন অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে থাকে সিটিং রুমও। সবাই বসে গল্প আড্ডায় মেতে উঠে সেখানে। তাই ড্রইং বা সিটিংরুমটাকে সাজিয়ে নিতে পারেন পুরো বাঙালিয়ানায়। পর্দায় আনতে পারেন ভিন্নতা। বাজারে নানা রকম ব্লক, বাটিক, অ্যাপ্লিকের পর্দা পাওয়া যায়। আর কৃত্রিম বা তাজা ফুল রাখতে পারেন মাটির পটারিতে। একটা কোণে গাছ রাখতে পারেন। ফ্লোরে বিছিয়ে নিতে পারেন শতরঞ্জি। পুরো ঘরের চেহারাটাই বদলে যাবে। সিটিং রুমেও এক কোণে শতরঞ্জি বা ম্যাট্রেস দিয়ে, কয়েকটি কুশন রেখে, পাশে মাটি, বাঁশ, বেত, কাঁসার শো-পিস বা পটারি রাখতে পারেন। সেগুলোতে দিতে পারেন কৃত্রিম বা তাজা ফুল। অথবা রাখতে পারেন গাছ। গাছ ঘরটাকে শীতল করবে। দেখতেও শান্তি লাগবে। যে কোনো জায়গায় গাছ রাখলে ঘরের পরিবেশটাই বদলে যায়।
খাবার টেবিল : খাবার টেবিলে লাল-সাদা চেকের ম্যাট বিছিয়ে দিতে পারেন। তার উপরে রানার দিয়ে, মাঝখানে ফুলদানিতে ফুল দিতে পারেন। খাবার পরিবেশন করতে পারেন মাটির বাসন-কোসনে। রাখতে পারেন ইলিশের নানা পদ। অথবা বিভিন্ন রকম ভর্তা-ভাজি।
বৈশাখ যেহেতু বাঙালি উৎসব। ঘরের পুরনো জিনিসগুলোকে রং করে, একটু অন্যরকম করে সাজিয়ে ঘরে নিয়ে আসতে পারেন ভিন্নতা।

×