ইফতেখারুল অনুপম, টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইল-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। যোগ্য নেতৃত্ব সঙ্কটে পড়েছে আওয়ামী লীগ। ঘাটাইলে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের কোন কমিটি নেই। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে দিশেহারা আওয়ামী লীগের নেতাকমীর্রা। এই আসনের বর্তমান এমপি আমানুর রহমান খান রানা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি হয়ে প্রায় দুই বছরের অধিক সময় ধরে হাজতবাস করছেন। এ অবস্থায় সংসদ নির্বাচনে তার মনোনয়ন পাওয়া অনিশ্চিত। এ সুযোগে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা। এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডাক্তার কামরুল হাসান খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম লেবু, সদ্য আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া সৈয়দ আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ তুহিন ছাড়াও অন্যান্যরা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, জেলার ঘাটাইল-৩ আসনে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়মূলক কর্মকা- মুখ থুবড়ে পড়েছে। দলীয় বর্তমান এমপি প্রায় দুই বছরের অধিক সময় ধরে অনুপস্থিত। আগামী নির্বাচনে কে হবেন নৌকার মাঝি, এটাই এখন নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচিত বিষয়। তাই এই আসনে আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ চায় একজন যোগ্য প্রার্থী। সাংগঠনিক ভিত্তি, ত্যাগী ও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে এই আসনে আওয়ামী লীগ তিন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কারাগারে থাকা বর্তমান এমপি আমানুর রহমান খান রানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম লেবু এবং পৌরসভার মেয়র শহীদুজ্জামান খান শহীদের নেতৃত্বে বিভিন্ন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের একটি গ্রুপ। এই তিন গ্রুপের কারণে এই আসনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হওয়ার পাশাপাশি দলের সাধারণ কর্মীসমর্থক ও ভোটারাও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। তাই এই আসনের আওয়ামী লীগের কর্মীসমর্থকরা দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক সিদ্ধান্ত ও নির্দেশের অপেক্ষায় আছেন।