
ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) এবার পাঠানো হয়েছে ই. কোলাই ও সালমোনেলার মতো রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া। নভোচারীদের স্বাস্থ্যের ওপর এসব ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব, মহাকাশে তাদের আচরণ এবং অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ গঠনের বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণার অংশ হিসেবেই এ উদ্যোগ নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ইসরায়েলের শেবা মেডিকেল সেন্টারের বিজ্ঞানীদের তত্ত্বাবধানে সম্প্রতি স্পেসএক্স রকেটের মাধ্যমে ই. কোলাই, সালমোনেলা বোঙ্গোরি ও সালমোনেলা টাইফিমুরিয়াম নামের ব্যাকটেরিয়া পাঠানো হয় আইএসএসে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, শূন্য মাধ্যাকর্ষণের (মাইক্রোগ্র্যাভিটি) পরিবেশে এসব ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ও আচরণ কেমন হয়— তা জানতেই এই উদ্যোগ।
শেবা মেডিকেল সেন্টারের সংক্রামক রোগ গবেষণাগারের প্রধান অধ্যাপক ওহাদ গাল-মোর বলেন, ‘মহাকাশের পরিবেশ ব্যাকটেরিয়ার আচরণ পরিবর্তন করে দিতে পারে। তারা দ্রুত বাড়তে পারে, এমনকি ভাইরাসের মতো আচরণও করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ অভিযানে এ ধরনের জীবাণু নভোচারীদের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে।’
তিনি আরও জানান, পাঠানো ব্যাকটেরিয়াগুলোকে হিমায়িত করে মাইক্রোগ্র্যাভিটির অধীনে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর পৃথিবীতে ফিরিয়ে এনে আণবিক বিশ্লেষণ চালিয়ে দেখা হবে—মহাকাশে জন্মানো ব্যাকটেরিয়া ও পৃথিবীতে জন্মানো ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে কোনো ভিন্নতা আছে কি না।
বিগত কয়েক দশকের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মহাকাশে ব্যাকটেরিয়ার আচরণ পৃথিবীর তুলনায় আলাদা। অনেক সময় তারা দ্রুত গঠনে সক্ষম হয় এবং রোগ সৃষ্টির ক্ষমতা বেড়ে যায়। তাই নভোচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এ ধরনের গবেষণাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছেন বিজ্ঞানীরা।
এই গবেষণার মাধ্যমে ভবিষ্যতের দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশ মিশনে সংক্রমণ প্রতিরোধ, অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবস্থাপনা ও রোগজীবাণু নিয়ন্ত্রণে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র: এনডিটিভি।
রাকিব